গতকাল এর ন্যায় আজও সারা পশ্চিম বাংলায় সাধারণ মানুষের জন্য ট্রেন চলাচল শুরু করার দাবিতে সকাল থেকে শুরু হয় ট্রেন অবরোধ। এদিন শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং এর ঘুটিয়াশরিফ ও বেতবেড়িয়া, এবং লক্ষীকান্ত পুর শাখার এবং ডায়মন্ড হারবার শাখার ও বারুইপুর শাখার মল্লিকপুর ও সোনারপুর ইস্টাশনে এদিন সকালে সাধারণ ট্রেন যাত্রীরা দফায় দফায় ট্রেন অবরোধ করে। এই খবর পেয়ে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বারুইপুর জেলা পুলিশ এর এডিশনাল এস, পি জোনাল সাহেব নেতৃত্বে বারুইপুর জেলা পুলিশ বিভিন্ন থানার পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দিতে গেলে পুলিশের সাথে সাধারণ যাত্রীদের বচসা হয় এবং কিছু যাত্রী উত্তেজিত হয়ে জি আর পি পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি শুরু করে। তখন পুলিশ পাল্টা ধাওয়া করলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় উত্তেজিত জনতা। পরে বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপার জোনাল সাহেব সাধারণ ট্রেন যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে দিতে সক্ষম হন। এবং প্রশাসনের তরফ থেকে যাতে পুনরায় ট্রেন চলাচল করতে পারে তার জন্য সরকার কে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। সাধারণ মানুষের দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর তিনি হঠাৎ করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেন। তাতে লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ বেকার হয়ে পড়েন। সেই সঙ্গে কিছু দিন আগে পশ্চিম বাংলা সরকার পচিশ শতাংশ কর্মী নিয়ে অফিস ও আদালত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু গত এক মাস বেশি সময় ধরে ট্রেন ও সরকারি পরিবহন ও বেসামরিক পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেন। কারণ করোনা ভাইরাস এর প্রকট ব্যাপক আকার ধারণ করার জন্য। কিন্তু সাধারণ মানুষ কি করে কলকাতা ও শহরতলি তে কাজ করতে যাবেন। তার বিকল্প হিসেবে কোন ব্যাবস্থা করেনি সরকার। তাই সাধারণ মানুষ কেন্দ্রীয় সরকার এর ট্রেন কর্মচারীদের জন্য দেওয়া ট্রেন এ উঠে চলাচল করতে গেলে ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। কোথাও কোথাও ভীড় উপচে পড়া সাধারণ যাত্রীরা ট্রেন থেকে পড়ে যাচ্ছেন। এমন একটি অবস্থায় সাধারণ মানুষ বাধ্য ট্রেন চলাচল চালু করার দাবিতে সকাল থেকে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় দফায় দফায় ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেন। তবে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ বেলার দিকে ধীরে ধীরে ফের ট্রেন চলাচল শুরু করে দেয় রেলওয়ে কতৃপক্ষ।। ভারত কলকাতা শহর থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।