আবু ইউসুফ নিজস্ব নিউজ রুম বাংলাদেশ।
আজ সমগ্র জাতি লজ্জিত এদেশে উপযুক্ত বিচার পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার কারণ অধিকাংশ উকিলের মধ্যে নীতি আদর্শ বলতে কিছুই নেই কারণ তাড়া টাকার বিনিময়ে সত্যি কে মিথ্যা আর মিথ্যা কে সত্য বলে প্রমাণ করাই তাদের কাজ। এমনকি ১০০% জেনে শুনে ধর্ষক ও খুনিদের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। তার বাস্তব উদাহরণ ফেনীর নুসরাত। ওসি প্রদীপ ও শাহেদ ও সাবরিনা। এরকম বাস্তব উদাহরণ অনেক আছে এই বাংলাদেশের মাটিতে।
এই লেখাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই সবাই ভালোভাবে পড়েন এবং লাইক, কমেন্টস ও শেয়ার করুন ।সারাদেশে খুন ও ধর্ষণ থেকে শুরু করে সব ধরনের অপরাধ চলছেই। কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না। বাস্তবতা দেখে মনে হচ্ছে অপরাধ করার প্রতিযোগিতা চলছে। বিশেষ করে সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনাগুলো মহামারি আকার ধারণ করেছে। এই সমস্যার মূলে আছে।
১) অপরাধীরা এক বা একাধিক রাজনৈতিক হাইব্রিড নেতাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পেয়ে থাকে। বর্তমানে প্রতিটি রাজনৈতিক দলে যথেষ্ট পরিমাণ হাইব্রিড নেতা আছে যাদের কাজি হচ্ছে রাজনৈতিক সাইনবোর্ড ব্যবহার করে সব ধরনের অপকর্ম করা।
২) প্রতিটি ঘটনার দ্রুত এবং সঠিক বিচার না হওয়া। যে দেশে বিচার পাওয়ার জন্য সারাদেশে আন্দোলন করতে হয়, যে দেশে আন্দোলন না করলে এবং মিডিয়াতে হাইলাইট না হলে কোন বিচার প্রক্রিয়া শুরুই হয়না, যেই দেশে বিচার পাওয়ার জন্য ১০/২০ বছর অপেক্ষা করতে হয়, যে দেশে বঙ্গবন্ধুর সপরিবারের খুনের বিচারের জন্য ৪০ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে, সেই দেশে উপযুক্ত বিচার পাওয়া কিভাবে সম্ভব?
৩) সাংবাদিক, পুলিশ, উকিল, ডাক্তার থেকে শুরু করে প্রতিটি সেকশনে ঘুষ বাণিজ্য চলছে । আমি ১০০% চ্যালেঞ্জ করে বলছি এমন কোন সেকশন নেই যেখানে ঘুষ বাণিজ্য হচ্ছে না। বিচার প্রক্রিয়ার সাথে যারা যুক্ত আছে তাদের একটা বড় অংশ ঘুষ বাণিজ্যের সাথে যুক্ত। টাকার বিনিময়ে সত্যকে মিথ্যা ও মিথ্যাকে সত্য করাই এদের কাজ। আমি সবাইকে বলছি না কিন্তু এই ধরনের অপকর্মের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়।
৪) অধিকাংশ উকিলের মাঝে নীতি আদর্শ বলতে কিছুই নেই। টাকার বিনিময়ে সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য প্রমাণ করাই তাদের কাজ। এমনকি ১০০% জেনে শুনে ধর্ষক ও খুনিদের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। তার বাস্তব উদাহরণ: ফেনীর নুসরাত, ওসি প্রদীপ, শাহেদ ও সাবরিনা। এরকম বাস্তব উদাহরণ অসংখ্য আছে।
৫) ধর্ম মেনে না চলা। আমরা অধিকাংশ মানুষ ধর্মকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করছি। প্রতিটি ছেলে মেয়ে মেয়েকে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করা প্রতিটি পিতা মাতার ফরজ দায়িত্ব কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশ পিতা মাতা তাদের উপর অর্পিত সঠিক দায়িত্ব পালন করছে না। ইসলাম ধর্মে মেয়েদের জন্য পর্দা করা ফরজ কিন্তু কয়টি মেয়ে পর্দা করেন? স্কুল কলেজ ভার্সিটিগুলোতে চলমান শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা উচিত। ৯০% মুসলিম দেশে ধর্মীয় শিক্ষা শুধু মাদ্রাসায় হবে কেন? এই বিষয়ে বাস্তবায়নের জন্য সরকারের ভূমিকা অপরিসীম।
৬) প্রতিটি ছেলে মেয়েদের অপরাধের জন্য অবশ্যই পিতা মাতাকে আইনের আওতায় আনা উচিত। প্রতিটি সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি করা পিতা মাতার দায়িত্ব। কিন্তু অধিকাংশ পিতা মাতা তাদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ। সুত্রঃ দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ এর প্রধান সম্পাদক আবু ইউসুফ মোবাইল নাম্বার। ০১৭১৫০৩৮৭১৮ যোগাযোগ করুন