মনোয়ার ইমামঃ
নেব, কলকাতা নগরপাল। সম্প্রতি কলকাতার কসবা এলাকায় একটি ভ্যাকসিন কান্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন ভূয়া আই এ এস অফিসার ও ভূয়া কলকাতা পৌরসংস্থার জয়েন্ট কমিশনার শ্রী দেব রন্ধন দেব। তিনি সম্পত্তি কসবা এলাকায় একটি করোনা ভ্যাকসিন দেবার জন্য ক্যাম্প করেন। এবং সেখানে কলকাতা পৌরসংস্থার বিভিন্ন পদ আধিকারিক গন উপস্তিত ছিলেন। উপস্তিত ছিলেন বারুইপুর লোকসভা কেন্দ্র এর এম পি মিমি চক্রবর্তী এবং সংসদ সদস্য সুখেন্দু শেখর রায় সহ বিভিন্ন জন প্রতিনিধি। কিন্তু সেখানে যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় তা জাল ও ভেজাল ভ্যাকসিন বলে প্রমাণিত হয়। পরে পুলিশ ঔ ভূয়া করোনা ভ্যাকসিন কান্ডের নায়ক দেব রন্ধন দেব গ্রেপ্তার করে। তখন তার প্রতারণা কান্ডের আসল রহস্য বের হয়ে আসে। এই ব্যাক্তি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত এই এ এস অফিসার ও কখনো নিজেকে কলকাতা পৌরসংস্থার জয়েন্ট কমিশনার বলে বিভিন্ন যায়গায় প্রতারণার ফাঁদ পেতে লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়ে নিত। এবং নিজে বিলাস বাহুল বাড়িতে এবং নীল রঙের বাতি লাগানো গাড়িতে ঘুরে বেড়াত। তিনি সম্পত্তি প্রায় ২৫,লক্ষ, টাকা কামিয়ে নিয়েছে করোনা ভ্যাকসিন জাল করে। তার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন ভেজাল ওষুধ গায়ে আসল ভ্যাকসিন এর লেবেল মেরে চালত। এবং ঔ ভ্যাকসিন বিভিন্ন যায়গায় প্রতারণার মাধ্যমে ও এন জি ও মাধ্যমে বিক্রি করে দিত। এই ভাবে দিন চলছিল। তার গাড়ির ডাইভার কে প্রতি মাসে ২৫০০০,হাজার, টাকা মাহিনা দিত। এবং নিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য সিকিউরিটি রাখতেন। কিন্তু তার শেষ রক্ষা হয়নি। কসবা এলাকায় একটি করোনা ভ্যাকসিন ক্যাম্প করে সেখানে ভেজাল করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় ধরা পড়ে। এবং পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে তদন্ত চালাচ্ছেন এই জাল করোনা ভ্যাকসিন কান্ডের সঙ্গে কারা কারা জড়িত আছেন। এইদিকে কলকাতা পুলিশের নগরপাল শ্রী সৌমেন মিত্র আই পি এচ জানিয়েছেন। এই জাল করোনা ভ্যাকসিন কান্ডের সঙ্গে জড়িত প্রতারক চক্র মূল পান্ডার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।। কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।