মোঃ জহুরুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ।
নিউজ ডেস্ক ঃ।
করোনায় নাজেহাল বহির্বিশ্ব। স্বদেশও তার বাহিরে নয়। পরিস্থিতি ক্রমেই বেগতিক হচ্ছে। তারমধ্যেই সরকার বেধে দেওয়া বিধিনিয়মের তোয়াক্কা না করে কিস্তি আদায়ে কুুষ্টিয়ার এনজিওগুলো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
সূত্র জানায় যে, কুষ্টিয়াতে কর্মরত বিভিন্ন এনজিও থেকে নিন্ম আয়, দোকানদার, ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোগক্তাসহ যে ঋণ নিয়েছে তা লকডাউনের মধ্যেও ফোনকল কিংবা এনজিও কর্মীরা লোন গ্রাহকের কাছে সরাসরি এসে কিস্তি আদায়ের জন্য ব্যাপক তোড়জোড় শুরু করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
কিস্তি আদায়ে তারা রীতিমতো হুমকি ধামকি মামলা মকদ্দমার ভীতিও প্রদর্শন করছে বলে জানা যাচ্ছে। দেশের এমন ক্রান্তিপর্বে যারা দুমুঠো খাবার যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে। এই মুহুর্তে “মরার উপর খাড়া” এ কেমন নীতি?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঋণ গ্রাহক বলেন, পেশায় তিনি একজন দোকানদার। ব্যবসা চালাতে তিনি এক এনজিও থেকে সাপ্তাহিক কিস্তিতে ঋণগ্রহণ করেছিলেন। নিয়মিত কিস্তি দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটাতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি দোকান বন্ধ রাখেন।এলো এনজিও কর্মীর ফোন কিস্তি পরিশোধের জন্য। তিনি তাকে অনেক বুঝালেন। এনজিও তার দোকান কিংবা আয় বন্ধ আছে তা বুঝতে রাজি নয় বরং কিস্তি পরিশোধ না করলে মামলা মকদ্দমার হুমকিও দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই দোকানদার।
এনজিও কর্মী কর্তৃক হুমকি ধামকি কিংবা চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে ঋণ কিস্তি আদায়ের বহু অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে কুষ্টিয়াতে অবস্থানরত নাম বেনামের এনজিও গুলোর বিরুদ্ধে।
অভিযোগের ভিত্তিতে কুষ্টিয়াতে এক এনজিও অফিসে যাওয়া হলে এই বিষয়ে কোন কথা বলতে নারাজ তারা।
তাদের এই বেপরোয়া ভাব থেকে কর্মহীন ঋণ গ্রাহকদের বাচাঁতে কুষ্টিয়ার স্থানীয় ও নির্বাহী প্রশাসনের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করছেন এই অসহায় মানুষগুলো।