মোঃ জহুরুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক।
দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ।
নিউজ ডেস্কঃ
মাঠে রয়েছেন কুষ্টিয়ার ডিসি এসপি এনএসআই
দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ প্রতিবেদক : কুষ্টিয়া শহরের মানুষ যখন কোন কিছুতেই স্বাস্থ্যবিধি
মানছিলো না ঠিক তখন কুষ্টিয়ার গণমানুষের নেতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপিরমাঠে রয়েছেন কুষ্টিয়ার ডিসি এসপি এনএসআই
পরামর্শে ও দিক নির্দেশনায় মাঠে নেমেছেন জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা
প্রশাসক সাইদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার খাইরুল আলম ও এনএসআই এর যুগ্ম পরিচালক
ইদ্রিস আলী। জেলা প্রশাসক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়ে ও কুষ্টিয়ায় নিজে
সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাঠে নামেন পুলিশ সুপার খাইরুল আলম। তিনি নিজে মাইক
হাতে নিয়ে শহরের প্রতিটি প্রান্তরে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর
হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন। নিজের থেকেই আবিস্কার করেন শহরের ৭টি পয়েন্ট এবং
সেই ৭টি পয়েন্টে পুলিশ পাহারা বসিয়ে সকল প্রকার যানবাহন, রিক্সা, ভ্যান,
অটো রিক্সা বন্ধ ঘোষনা করেন। প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেও জেলা প্রশাসকের
নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশ সুপারের নির্দেশে পুলিশ সদস্যরা
বৃষ্টিতে ভিজেও সেই দায়িত্ব পালন করছেন। যে কারণে গতকাল কুষ্টিয়া শহর
ভূতড়ে শহরে পরিণত হয়। কোথাও কোন জনমানব দেখা যায়নি। শুধুমাত্র রুগীবহন
এবং বেলা ১টা পর্যন্ত ২/১ জন করে কাঁচা বাজার বহন ছাড়া কোন মানুষ চোখে
পড়েনি। এদিকে হাসপাতাল থেকে একের পর এক ভেসে আসছে স্বজন হারানো কান্না ও
আর্তনাদ। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
১৫ ঘন্টায় ১০ জনের মৃত্যুর সংবাদে শহরের আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে। আর
তখনই সাধারণ মানুষের সামনে ভেসে উঠে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম
ও পুলিশ সুপার খাইরুল আলমের স্বাস্থ্যবিধি মানার কঠোর হুঁশিয়ারীর কথা।
সাধারণ মানুষ বলেন, জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম আমাদের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে
পাশে দাঁড়িয়েছেন। একই ভাবে পুলিশ সুপার খাইরুল আলম আমাদের ভালোবেসে,
আমাদের ভালো থাকার জন্য এবং আমাদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে
নিজে মাঠে নেমেছেন। কুষ্টিয়ায় যোগদানের পর থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে
মাঠে রয়েছেন। পথচারী, বাস, রিক্সা, অটো রিক্সা, ভ্যানের যাত্রীদের এবং
চালকদের নিজ হাতে মাস্ক পরিয়ে দিয়েছেন। শুধু তাই নয় তিনি শহরে একের পর এক
জেলা পুলিশের সকল সদস্যকে নিয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক
র্যালী করেছেন। প্রচারপত্র বিতরন করেছেন নিজ হাতে। বিভিন্ন বয়সী মানুষের
মুখে মাস্ক পরিয়েছেন এবং তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে
সচেতনতামূলক প্রচারপত্র। ষাটোর্ধ্ব আরমান আলি জানান, এসপি স্যার নিজ হাতে
রাস্তায় আমাকে মাস্ক পরিয়ে দিয়েছেন। সেই থেকে আমি নিয়মিত মাস্ক পরি। একই
কথা বলেন পঁচাত্তর বয়সী জমেলা বিবি। তিনি বলেন, ছেলেটার কোন অহংকার নাই।
অতবড় অফিসার নিজ হাতে আমার মুখে এটা পরিয়ে দিলো।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম ও পুলিশ
সুপার খাইরুল আলমের একের পর এক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে জেলার সর্বস্তরের
মানুষ তাকে বাহবা দিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সেই সাথে বলেছেন সাবাশ
ডিসি ও এসপি। যাঁরা মানবিক জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার হিসাবে কুষ্টিয়ার
মানুষের কাছে সমাদৃত। এছাড়াও জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সাথে একই ভাবে
মাঠে রয়েছেন এনএসআই এর যুগ্ম পরিচালক ইদ্রিস আলী। কুষ্টিয়ায় ইতিপূর্বে
রাষ্ট্রীয় কোন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাকে এভাবে জনগনের পাশে মাঠে
নামতে দেখা যায়নি। তিনি করোনা প্রতিরোধে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের
সাথে সার্বক্ষনিক মাঠে রয়েছেন।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, আমাদের মাথার উপরে আছেন শ্রদ্ধেয়
এমপি মহোদয় হানিফ স্যার। স্যারের নির্দেশিত পথে আমরা মানুষের সেবা দিয়ে
যাচ্ছি। হানিফ স্যার আমাদের প্রতিনিয়ত মানব সেবার জন্য একদিকে যেমন
নির্দেশনা দেন অন্যদিকে উৎসাহিত করে থাকেন। একই ভাবে কুষ্টিয়া জেলা
ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম ও আমি কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ
করে যাচ্ছি। জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের
লক্ষ্য এক ও অভিন্ন। কোভিডমুক্ত শান্তির কুষ্টিয়া বিনির্মানে আমরা নিরলস
ভাবে কাজ করছি। গণমাধ্যমকর্মীসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সহযোগিতা চাই।