মোঃ আনোয়ার হোসেন
ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের শাহীন
হত্যা -মূল আসামি গ্রেফতার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
নৃসংশ ক্লুলেস হত্যাকান্ডের দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ এবং গুরুত্বপূর্ণ আলামত উদ্ধার করেছে । প্রকাশ্য জনসম্মূখে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে।
শাহীনুজ্জামান ওরফে শাহীন (৩০) পিতা-চাঁদ আলী, সাং বালিয়াডাঙ্গা, কালীগঞ্জ। ৫-৬-২০২১ তারিখ খুন হয়েছিল।হত্যাকান্ডর দু’দিন পর সিরাজুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান ওরফে বাবুলকে (৩৮) এবং আট দিনের মাথায় অপর হত্যাকারী মোমিন উল্লাহর ছেলে মোঃ জসিম উদ্দিন ওরফে বাবুকে (৩৪) কালীগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। তাদের দু’জনেরই বাড়ি কালীগঞ্জের বালিয়াডাঙঙ্গা গ্রামে।শাহীনুজ্জামান ওরফে শাহীনকে গলায় রশি পেচিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীরা তার নিকট থাকা ৭ হাজার টাকা নিয়ে নেয় এবং পরনে থাকা প্যান্ট-গেঞ্জি, ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, টর্চ লাইট,বাচ্চার খাবার সুজি-চিনি এবং হত্যা কাজে ব্যবহৃত লাইলনের রশি ও ক্ষুর পার্শ্ববর্তী মাঠে ধান ক্ষেতে মাটির নিচে পুতে রাখে।
৮/৬/২০২১ তারিখ বালিয়াডাঙ্গা এলাকা হতে আসামী মিজানুর রহমান বাবুলকে গ্রেফতার করার পরপরই আসামী মোঃ জসিম উদ্দিন বাবু পলাতক হয়।
সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের চালচলন ও মোবাইল কল লিস্ট পর্যালোচনা করে ঘটনার দুই দিন পর প্রথমে হত্যাকারী মিজানুর রহমান ওরফে বাবুল এবং পরে ইং-১৩/০৬/২০২১ তারিখ ঠাকুরগাঁও জেলার রুইয়া থানা এলাকা হতে হত্যাকারী জসীমউদ্দীন ওরফে বাবুকে গ্রেফতার করা হয় এবং বাবুর স্বীকারোক্তি মোতাবেক কালীগঞ্জ থানাধীন বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে স্বপনের ধান ক্ষেতের মধ্যে মাটির নিচে পুতে রাখা শাহিন এর পরনের প্যান্ট, ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, টর্চ লাইট, বাচ্চার জন্য কেনা সুজি-চিনি এবং হত্যা কাজে ব্যবহৃত নাইলনের রশি ও ধারালো ক্ষুর আসামীর নিজ হাতে বের করে দেয়। যা গ্রামবাসীর সম্মুখে জব্দ করা হয়। সেসময় হত্যাকারী জসীমউদ্দীন ওরফে বাবু উপস্থিত লোকজনের সামনে হত্যার কথা স্বীকার করে।
১৪-৬-২০২১
মোঃ আনোয়ার হোসেন
ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি
মোবাইল ০১৭১৪৮৫০৯৭১