======================
মাঈনউদ্দীন মিন্টু নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
নেতা শব্দ হলো একটি দলনায়ক বা অগ্রবর্তী মানুষটি। যাকে তার অনুগতরা অনুসরন করে তাকে নেতা বলা হয়। এখন প্রশ্ন হলো তিনি কিসের নেতা, কোন কারনে নেতা, কোন গুনাবলিতে নেতা।
কোন একক ব্যক্তি বা সম্মিলিতভাবে কতিপয় লোক নিদিষ্ট আর্দশ বা মত পথ পন্থাকে সমাজে রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা করতে মূলনীতি তথা গঠনতন্ত্র পেশ করেন। যার মাঝে ধারা উপধারা মিলিয়ে একটি জীবন, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার দিক নির্দেশনা থাকবে তাকে বলা হয় নীতি, আদর্শ বা Ideology.
এই আদর্শ বা নীতি (Ideology) বাস্তবায়নে যারা একমত হবেন তাদেরকে সংগঠিত করে একটি মঞ্চে, কেন্দ্রবিন্দুতে বা platform এ জড়ো করার ব্যবস্থা করা। কতিপয় সমমনা লোক নিয়ে একত্র হয়ে এই আদর্শের ভিত্তিতে কাজ করার ঘোষণার নাম হলো দল বা পার্টি।
এই মানুষ গুলিকে পরিচালিত করার মাধ্যমে আদর্শ প্রতিষ্ঠার জোরালো ভুমিকা নিয়ে কাজ করা, সংগ্রাম করা, ঘরে বাহিরে, সমাজে রাষ্ট্রে, রাজপথে জনতার দোরগোড়ায় পোঁছে দেওয়া।
কে বা কারা করবে এই দায়িত্বপালন?
#
প্রথমতঃ এই আদর্শের বিষয়টি পরিস্কার ভাবে নিজে বুঝে নেওয়া। যদি এই কাজ করার একান্ত প্রয়োজনীয় মনে করা হয়, তাহলে নিজের মাঝেই দৃঢ়মূল ভাবে এই আদর্শের পরিস্কার ধারনা থাকা। কোন প্রকার সন্দেহ সংশয় নিয়ে দোদুল্যমান না থাকা। নিজের জীবনের সাথে আদর্শ একাকার হয়ে যাওয়া।
এই ধরনের Dedicated লোক বাছাইয়ে সকলের পরামর্শ গ্রহন করে নেতা নির্বাচন করা। এই নেতার আদেশ নিষেধের ভিত্তি হবে দলের মূল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন। নেতা যা আদেশ করবেন তা পালন করাই হবে বাকি দায়িত্বশীলদের কাজ। তারা এই কাজ আদেশ পালনে সস্থা কোন ওজর পেশ করতে পারবেন না।
নেতার গুনাবলি কেমন হওয়া উচিৎ?
#
একজন নেতা তিনি তার নিজের চরিত্র বা ব্যক্তিত্ত এমনভাবে লালন বা প্রতিষ্ঠা করবেন যেনো তার মাঝেই ঐ আদর্শ বা দলের চরিত্র ফুটে উঠে। তিনি যেই আদর্শের কথা বলছেন সেই বিষয়ে তিনি পারদর্শি হতে হবে। তিনি সকলের চাইতে উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। তার কথা ও কাজে সমান্তরাল হতে হবে। লোকজন যেই কাজে প্রচেষ্টা বা সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, তাকে যেনো তার বাস্তব নমুনা মনে হয়। তিনি শুধু আদেশ করবেন না বরং নিজে সকলের চাইতে আন্তরিক হবেন। অধস্তন কর্মীদের মাঝে তার কর্মকান্ড ইনছাফ ভিত্তিক হতে হবে। তিনি সত্যবাদিতায় ও দায়িত্ব পালনে একনিষ্ঠতার পরিচয় দেবেন। কর্মিদের পারস্পরিক কথা হজম করবেন। কোন মন্তব্য ছাড়াই তাদের অভিযোগ হৃদয়ংগম করবেন এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে একাই ভাবতে থাকবেন। আদর্শ প্রতিষ্ঠায় সকলের সাথে পরামর্শ করবেন কাউকে তীব্রভাষায় কথা বলবেন না। দায়িত্ব বন্টনে নিজর ইনছাফ ও কর্মির যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ আদায় করতে হবে। তিনি কারো নয় তিনি সকলের এই মানষিকতায় কান কথা শুনা থেকে বিরত থাকবেন। আদর্শ প্রতিষ্ঠায় কাজের অগ্রগতি অবনতির জরিপ বা মূল্যায়ন করবেন। নিজেকে ত্যাগ কোরবানীর জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকবেন। ছলনা, শঠতা, আত্মঅহমিকা পরিহার করে একনিষ্ঠ হতে হবে। একজন কর্মিকে তার বক্তব্য দেয়ার ও নিজে তা আন্তরিকভাবে শুনতে হবে তারপর তাকে হয় সমাধান না হয় উত্তম নসিহত দিতে হবে। কোন অবস্থায় একজন নেতা কর্কশ ভাসি নয় বরং মিষ্টি ভাসি হতে হবে।
০২/১০/২০২০ ইং