মোঃ আল মামুন হাওলাদার
স্টাফ রিপোর্টারঃ-
পটুয়াখালী বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের দীঘির পারে ১৮১ নং গুলিঠামৌজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে দীর্ঘ কয়েক বছর একক কমিটি দ্বারা পরিচালিত ও প্রভাবশালীদের দখলে থাকায় প্রায় ১০ বছরেও উন্নয়নের কোন ছোয়া লাগেনি এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পরিচর্যার অভাবে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা গরু ছাগলের বসত ঘরে পরিনত হয়েছে।এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে জানতে চাইলে জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কোন রকম উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি বিদ্যালয়টিতে। বিদ্যালয়ের আশেপাশে ঘুরে দেখাযায় টিউবওয়েল নষ্ট হয়ে পরে আছে কোমলমতি শিশুদের ব্যাবহারের বাথরুমের কোন পরিবেশ নেই এর কারন হিসেবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব অবহেলা ও দীর্ঘদিন ধরে একক কমিটির পরিচালনাকে দায়ী করেন এলাকার ছাত্র, যুবক ও অভিভাকরা।এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতাদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, বিদ্যালয়টি প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে দীর্ঘ কয়েক বছর তাদের কাছে জিম্মি কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।শিক্ষা গ্রহন থেকে বঞ্চিত হওয়ার ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেনা।এছাড়াও বরাদ্দ নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রাকের টাকা, স্লীপের টাকা, বিদ্যালয় সংষ্কারের বরাদ্দ কোন কিছুর প্রতিফলন দেখছে না তারা।এছাড়াও নিয়মিত ক্লাসে শিক্ষক শিক্ষিকারা অনুপস্থিতি থেকেও বেতন ভাতা তুলেছেন।একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকা স্বামী স্ত্রী হওয়ায় সকল সুবিধা ভোগ তাদের এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেহই কিছু বলতে পারছেনা।এমনকি যারা জমিদাতা ও প্রতিষ্ঠাতা তাদেরকেও অমুল্যায়ন ও সুবিধাবঞ্চিত করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন।
এনিয়ে মিডিয়াকর্মীরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালাম মাস্টারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সাক্ষাৎ করতে চাইলে তিনি অসুস্থ বলে মিডিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না বলে জানান, তবে মুঠোফোনে তার বক্তব্য অনুযায়ী দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বিদ্যালয়ে কোন বরাদ্দ আসেনি এবছর প্রাকের ৫০ হাজার ও স্লীপের ১০ হাজার টাকা এখনো তোলেননি একাউন্টে আছে ভবন সংষ্কারনের জন্য ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো পাননি বলে জানান। পরিচর্যা ও গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে করোনা পরিস্থিতির কারনে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় পরিবেশ এলোমেলো রয়েছে।
এবিষয়ে কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট বাদশা আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাকের ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর বই ক্রয় করে প্রধান শিক্ষক সালাম মাস্টারের বাসায় রাখা হয়েছে স্লিপের ১০ হাজার টাকা এখনো আছে বলে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দেন।
এনিয়ে বাউফল উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার দেবাশীষ ঘোষকে অবহিত করা হলে বলেন, তিনি বলেন কমিটির বিষয়ে আমাদের কোন এখতিয়ার নেই এটা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্ধান করবেন তবে পর পর দুই বারের বেশি কেহ সভাপতি হতে পারবে না যদি হয় সেটা অনিয়ম। বরাদ্দের বিষয়টি ঠিক আছে সরকারি বরাদ্দ আসলে বিদ্যালয়ের কাজে ব্যাবহৃত না হলে সেটা অনিয়ম হবে বিষয়টি দেখবেন বলে তিনি জানান।