গত বিধান সভা নির্বাচন এ ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট এর সাথে জোট গঠন করে নির্বাচন এ লড়াই করে ছিল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। এবং নির্বাচন ফল ঘোষণার পর দেখা যায় সারা পশ্চিম বাংলায় বিভাজনের রাজনীতিতে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেলেও পশ্চিম বাংলায় একটি আসনে জয়লাভ করে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। তাও আবার তৃনমূল দলের শক্ত ঘাঁটি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙড় কেন্দ্র থেকে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট প্রাথী হিসেবে দাড়ান পশ্চিম বাংলার ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা জনাব নওশাদ সিদ্দিকী সাহেব। তিনি তৃনমূল দলের অন্যতম প্রাথী কে প্রায় পয়ত্রিশ হাজার এর বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। তিনি একমাত্র বিজেপি বাদে বামফ্রন্ট ও ভারতের জাতীয় কংগ্রেস জোট প্রাথী হিসেবে জিতেছে। তার পর গঙ্গার জল বহু দুর পযন্ত গড়িয়েছে। তার এবং তার দলের নেতা ও কর্মীদের উপর অত্যাচার করে শাসক তৃনমূল দলের নেতা ও কর্মীরা। যা নিয়ে বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে রিট আবেদন ও ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছে। তার মধ্যে আজ পশ্চিম বাংলার বিধান সভার অধ্যাপক শ্রী বিমান ব্যানার্জী পীরজাদা জনাব নওশাদ সিদ্দিকী কে বিধান সভার দুটি স্হায়ী কমিটিতে যায়গা করে দিলেন। একটি পাবলিক একাউন্ট কমিটি। এবং একটি সংসদীয় কমিটিতে। যা বিরোধী দল বিজেপির কাছে আশ্চর্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। তবে বিধান সভা চলাকালীন পীরজাদা জনাব নওশাদ সিদ্দিকীর ভূমিকা কি পালন করেন তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।। ভারতের কলকাতা শহর থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।