নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
১। র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন হতেই খুন, অপহরণ, জঙ্গীদমন, ছিনতাই, চাঁদাবাজ, চুরি, অবৈধ মাদক ব্যবসা ও চোরাচালানসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করাসহ দূস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে অপরাধ নির্মূলে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে এবং র্যাব-১২ এর সিপিএসসি, বগুড়া ক্যাম্পের আওতাধীন এলাকাগুলিতে ব্যাপকভাবে সফলতা অর্জন করেছে। গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধিসহ সার্বক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করে র্যাব ইতিমধ্যে জনগনের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
২। গত ২৪ জুন ২০২১ তারিখ বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০ ঘটিকার সময় বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলার খরনা ইউনিয়নের জগন্নাথপুর এলাকায় রাস্তার পাশের্^ ডোবা থেকে হাত-পা বাধা অবস্থায় সাব্বির আহম্মেদ (১৪) নামে এক অটোচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। ভিকটিম বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার জামগ্রামের ইজিবাইক চালক গোলাম রব্বানীর ছেলে। সে জামগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র ছিল। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনার পর থেকেই র্যাব-১২, বগুড়া ক্যাম্পের গোয়েন্দা দল ও আভিযানিক দল হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য মাঠে নামে এবং হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করে। এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানায় ইজিবাইক চালক স্কুল ছাত্র সাব্বির (১৪) হত্যায় জড়িত পলাতক সন্ত্রাসী ১। মোঃ আমিনুল ইসলাম (২৬), পিতা-মোঃ গোলাম মোস্তফা, সাং-দক্ষিণ জামগ্রাম (সাদাপাড়া), ২। মোঃ আব্দুস সোবহান আলী (২৫), পিতা-মোঃ বুলু মিয়া প্রামানিক, সাং- দক্ষিণ জামগ্রাম (পাঠপাড়া), উভয় থানা-কাহালু, জেলা-বগুড়া, বগুড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করিতেছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে বগুড়া র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন, (জি), বিএন এর নেতৃত্বে র্যাব-১২, বগুড়া ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ২৭ জুন ২০২১ ইং তারিখ রাত ০১.০০ ঘটিকা হইতে ০৪.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে প্রধান আসামী আমিনুলকে গাবতলী থানা এলাকা ও সহযোগী আসামী সোবহানকে কাহালু থানা এলাকা হতে আটক করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানা এলাকায় ইজিবাইক ছিনতাই করার সময় বাধা দিলে সাব্বির (১৪) কে হত্যা করা হয়। উক্ত হত্যাকান্ডে আটককৃত আমিনুল ও সোবহান ইজিবাইক ছিনতাই করার সময় খুনি হিসেবে হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণ করেছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় সাব্বির হত্যার পর থেকেই বগুড়ার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেছিল। উল্লেখ্য এ হত্যাকান্ডে আটক অপর আসামী আঃ সালাম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে প্রধানহোতা আমিনুল ও সহযোগী সোবহান হত্যাকান্ডে জড়িত বলে উল্লেখ করেছে। বর্তমানে আসামীরা উঠতি বয়সী যুবকদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করার সহযোগিতা করে আসছে। আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে এলাকার জনসাধারণের অনেক অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।