মোঃ সিরাজুল হক রাজু
স্টাফ রিপোর্টার।
সীমিত লকডাউনে বরিশালে নিত্য প্রয়োজনীয় ছাড়া সব ধরনের দোকানপাঠ এবং শপিং মল বন্ধ রয়েছে। খোলা রয়েছে নিত্য পণ্যের বাজার। অপরদিকে লকডাউনের কারনে বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লা রুটের লঞ্চ এবং বাস বন্ধ রয়েছে। এ কারনে জরুরি প্রয়োজনে যারা বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা পড়েছেন ভোগান্তিতে। স্থানীয় বিভিন্ন যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়ায় স্বল্প দূরত্বে যাচ্ছেন তারা। লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর ভূমিকায় রয়েছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এদিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনাসুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির অভিযান চালানো হয়েছে। করোনা সংক্রামণ বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশের মতো বরিশালেও শুরু হয়েছে সীমিত আকারের লকডাউন। লকডাউনকালে দোকানপাঠ এবং যানবাহন বন্ধ রাখতে আগেই মাইকিং করে সিটি করপোরেশন এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ কারনে সোমবার সকাল থেকে নগরীর বেশিরভাগ দোকানপাঠ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শপিং মল বন্ধ রয়েছে। তবে মুদি দোকান, কাঁচা বাজার, মাছের বাজার এবং ওষুধের দোকান খোলা রয়েছে। সকালের দিকে বাজারঘাটে ভীড় থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাজার ফাঁকা হয়ে গেছে।
এদিকে লকডাউনের কারনে বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীন এবং দূরপাল্লা রুটের লঞ্চ এবং বাস বন্ধ রয়েছে। তবে ফাঁক ফোকর গলে ব্যাটারি চালিত কিছু রিক্সা, অটোরিক্সা এবং থ্রি হুইলার চলাচল করছে। দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় নামা জনগণ। প্রয়োজনীয় সংখ্যক যানবাহন না পাওয়ায় হেঁটেও গন্তব্যে যাচ্ছেন অনেকে। দুর্ভোগের শেষ নেই তাদের।
লকডাউন বাস্তবায়নে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক বিদ্যুত কর্মকার জানান, পরিচয়পত্রসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি ছাড়া কোন যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। নগরীর অভ্যন্তরে জরুরি প্রয়োজনে শুধুমাত্র পায়ে চালিত রিক্সা চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে। দিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির অভিযান চালানো হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১টায় নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মাস্ক এবং লিফলেট বিতরণ করে জনগণকে করোনা সম্পর্কে সচেতন কার্যক্রমের সূচনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ। জনসচেতনতা সৃষ্টিতে নগরীতে ৩টি সহ জেলায় মোট ১৫টি টিম কাজ করছে বলে জানান গৌতম বাড়ৈ।