1. clients@www.dainikbangladesh71sangbad.com : DainikBangladesh71Sangbad :
  2. frilixgroup@gmail.com : Frilix Group : Frilix Group
  3. kaziaslam1990@gmail.com : Kazi Aslam : Kazi Aslam
শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:০৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
জরুরী নিয়োগ চলছে জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। সাংবাদিকতা সবার স্বপ্ন, আর সেই স্বপ্ন পূরণ করতে আপনাদেরকে সুযোগ করে দিচ্ছে দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ দেখিয়ে দিন সাহসীকতার পরিচয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সাংবাদিকতার বিকল্প নেই। আপনার আশপাশের ঘটনা তুলে দরুন সবার সামনে।হয়ে উঠুন আপনিও সৎ, সাহসী সাংবাদিক। দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ পোর্টাল নিয়োগ এর নিদের্শনাবলী: ১/জীবন বৃত্তান্ত ( cv) ২/জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি। ৩/সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি ১কপি। ৪/সর্বনিম্ন এইচএসসি পাস/সমমান পাস হতে হবে। ৫/বিভিন্ন নেশা মুক্ত হতে হবে। ৬/নতুনদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ৭/স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। ৮/স্মার্টফোন ব্যবহারে পারদর্শী হতে হবে। ৯/দ্রুত মোবাইলে টাইপ করার দক্ষতা থাকতে হবে। ১০/বিভিন্ন স্থানে ভ্রমন এর মানসিকতা থাকতে হবে। ১১/সৎ ও পরিশ্রমী হতে হবে। ১২/অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। ১৩/নারী-পুরুষ আবেদন করতে পারবেন। ১৪/রক্তের গ্রুপ যুক্ত করবেন। ১৫/স্থানীয় দের সাথে পরিচয় লাভ করতে হবে। ১৬/উপস্থিত বুদ্ধি, সঠিক বাংলা বানান, ও শুদ্ধ বাংলায় পারদর্শী হতে হবে। ১৭/ পরিশ্রমী হতে হবে যোগাযোগের জন্য ইনবক্সে মেসেজ করুন cv abuyousufm52@gmail.com দৈনিক বাংলাদেশ ৭১সংবাদ মোবাইল নং(01715038718)

সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকতা কতটুকু গ্রহন যোগ্য। দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ।

Reporter Name
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

আওরঙ্গজেব কামাল : সাইবার নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকতা কতটুকু গ্রহন যোগ্য এবিষয়ে হয়তো অনেকে ভাবছেন। বিভিন্ন সংগঠন এ আইনের পরিবর্তন দাবী করেছেন। আমিও এ আইনের পরিবর্তনের দাবী জানাই। প্রথমে বলবো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের জন্য কতটা করেছেন, তা কারোই অজানা নয়। সাংবাদিকদের নিয়ে তার চিন্তা চেতনা চিল তা পরবর্তী কোন সরকার বাস্তবয়ন করেনি। বরং সাংবাদিককে কি ভাবে আটকানো যায় সে চেষ্টা করেছে। আর সেটা এখনো অব্যহত রযেছে। তার প্রমান সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিতকৃত ধারা।
সাইবার নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ায় সাংবাদিকতায় হতাশা বিরাজ করছে। সাংবাদিকদের মধ্যে ভয় ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বলছেন এর প্রভাবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় সমস্যা হবে। পুলিশের সাথে সাংবাদিকদের একটু এদিক সেদিক হলে তার সাংবাদিকতা হয়তো ঐখানে শেষ হবে। এমন নানাবিধ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে পেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে। বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার, সর্বোচ্চ শাস্তি কোটি টাকা জরিমানা এবং ১৪ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে সাইবার নিরাপত্তা বিল–২০২৩ পাস হয়েছে। আসলে আপনারা একটু ভেবে বলুন এখানে কি বস্তু নিষ্টা সাংবাদিকতার কোন সুযোগ থাকলো ? বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে পাঁচ বছর পর সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন পাস করলো কিন্ত সেই সাইবার নিরাপত্তা আইন সাংবদিকতায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন অধিকাংশ পেশাজীবী সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের আপত্তিগুলো উপেক্ষা করে সাইবার নিরাপত্তা বিল পাস করায় এই আইন স্বাধীন সাংবদিকতা ও মত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কা করেছেন সংসদে বিরোধী দলের সদস্যরা। এছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীদের অনেকে বলছেন, নতুন আইনে সাজা কমানো ও জামিনযোগ্য ধারা বাড়ানোর বিষয়টি ইতিবাচক হলেও আইনের সংজ্ঞা আগের মতোই বহাল রাখায় অপপ্রয়োগ ও অপব্যবহারের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এছাড়া সবসময় সাংবাদিকরা পুলিশের ঝামেলার মধ্যে থাকবে। এ থেকে স্বাধীন সাংবাদিকতা হারিয়ে যাবে । প্রকৃত সংবাদ উদঘটন করা সম্ভাব হবে না। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউজ ক্লাবের চেয়ারম্যান ইজ্ঞিঃ মোঃ হোসেন ভূইয়া বলেন,সাইবার নিরাপত্তা আইনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত দিকনির্দেশনা ও তদারকি নিশ্চিত করা হয়নি, বিষয়টি আগের মতোই অবহেলিত রয়ে গেছে। এ থেকে সাংবাদিকরা হয়তো কোন সুবিধা পাবে না। তবে সাংবাদিকতা বাধা গ্রহস্ত হবে। বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার ও তল্লাশির সুযোগসহ নিপীড়নমূলক সব ধারা বহাল রেখে এবং অংশীজনদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই মন্ত্রিসভায় এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে অধিকাংশ সাংবাদিক সংগঠন নেতৃবৃন্দের ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ, মতামত ও প্রস্তাবনা উপেক্ষা করে আইনটির চূড়ান্ত অনুমোদন সরকারের ‘একগুঁয়ে ও দমনমূলক’ মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে বলে মনে করেন সাংবাদিক নেতারা। সাংবাদিকদের জন্য এ আইনের সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় যে সাব-ইন্সপেক্টর মর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার ও তল্লাশির ক্ষমতা দেওয়া। এ ধারাটি আইনের অপপ্রয়োগের সবচেয়ে ভয়ংকর হাতিয়ার। এটি আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারায় ছিল, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আছে, এখন আবার সাইবার সিকিউরিটি আইনেও রাখা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারা ২৫ (মিথ্যা বা আপত্তিকর তথ্য প্রকাশ), ধারা ২৯ (মানহানিকর তথ্য প্রকাশ) এবং ধারা ৩১ (আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো বা উস্কানি) সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়ায় অবিকৃত রয়েছে। ২৫ ধারায় ‘রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুন্ন’ সংক্রান্ত কোনো ব্যাখ্যা নেই। এসব ধারার যথেচ্ছ অপব্যবহার হতে দেখা গেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। সাইবার আইনেও কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা ছাড়া এসব বিধান যুক্ত করা হয়েছে। আমি সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এসব ধারা বাতিলের দাবি জানাই। অমি দেখেছি এ আইনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশিরভাগ ধারা হুবহু থাকা এ আইনের চারটি ধারা জামিন অযোগ্য থাকছে। অন্য ধারাগুলো জামিনযোগ্য রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। জামিনযোগ্য করা বা শাস্তি কমানোর মাধ্যমে পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হবে না। কারণ কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেফতার করে জামিন না দিয়ে জেলে দীর্ঘ সময় আটকে রাখার অনেক নিকৃষ্ট উদাহরণ রয়েছে। শুধু পেকেট পরিবর্তন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে দেশি-বিদেশি উদ্বেগ ও জনগণের ভয়-শঙ্কা কাটবে না। অংশীজনদের প্রত্যাশা নতুন আইনে সম্পূর্ণভাবে অবজ্ঞা করা হয়েছে। ডিজিটাল আইনের সঙ্গে এর কোনো মৌলিক পার্থক্য এ আইনে নেই। কিছু ক্ষেত্রে সাজার মেয়াদ কমানো বা জামিনযোগ্য করা আইওয়াশ এবং আন্তর্জাতিক মহলকে ধোঁকা দেওয়া ছাড়া আর কিছু না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শিশু, কিশোর, নারী, বয়স্ক, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের ওপর সীমাহীন নিপীড়ন চালানো হয়েছে। যে কারণে সংবাদকর্মী থেকে শুরু করে দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন এমনকি সাধারণ মানুষও ডিজিটাল আইনটি বাতিল চেয়েছিল। কিন্তু সরকার সাইবার সিকিউরিটি আইন নাম দিয়ে দমন-নিপীড়নের হাতিয়ারটি একইভাবে রেখে দিয়েছেন । আমরা জানি একটি সাইবার সিকিউরিটি আইনের লক্ষ্য হচ্ছে ডিজিটাল সিস্টেমস, নেটওয়ার্ক ও তথ্যের নিরাপত্তা প্রদান এবং অনলাইন হুমকি থেকে দেশ, প্রতিষ্ঠান ও জনগণকে রক্ষা করা। এ আইন সর্বপ্রথম যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রণীত হয়। কিন্ত জাতির বিবেক ও রাষ্টের চতুর্থ স্তম্ভ এর বিরুদ্ধে করা কি ঠিক হবে। আমি মনে করি সরকার চাইলে কোন একটি ধারার মধ্যে সাংবাদিকদের কিছু বিষয় এড়িয়ে যেতে পারে। পুলিশ যদি সাংবাদিকদের গ্রেফতার করে তাহলে সাংবাদিরা কি ভাবে তথ্য সংগ্রহ করবে। এমনিতেই প্রতিনিয়ত সাংবাদিক গুম,খুন,মামলা হামলা ও হয়রানির শিকার হচ্ছে। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে ১৫০ জন সাংবাদিক খুন, হামলা, মামলা, গ্রেফতার, নির্যাতন, হুমকিসহ নানাভাবে আক্রান্ত ও নিগ্রহের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে জানুয়ারি ও জুন দু’মাসে খুন হয়েছেন দুই সাংবাদিক। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে আরো তিনজনের। মার্চ মাসে সর্বাধিক সংখ্যক ৪০ জন সাংবাদিক নিপীড়নের মুখে পড়েন। অন্য পাঁচ মাসের মধ্যে জানুয়ারিতে ১৮, ফেব্রুয়ারিতে ২৫, এপ্রিলে ২৪ এবং মে মাসে ১৪ জন এবং জুন মাসে ২৯ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নিগৃহীত হয়েছেন। শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার সম্পাদকসহ ডিজিটাল আইনে হয়রানিমূলক মামলার শিকার হয়েছেন এদের অনেকে। গ্রেফতার হয়ে জেলও খাটতে হয়েছে সাতজনকে। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত নিপীড়ন, গুম, হত্যা ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। এসব হামলা ও নির্যাতনের কোনো প্রতিকার, এমনকি তদন্ত পর্যন্ত ঠিকমতো হয় না। যার উধারন সাগর রুনী,সাংবাদিকের সাথে হওয়া অপরাধের তদন্ত, বিচার ইত্যাদি না হওয়াই যেন নিয়ম। সব ক্ষেত্রে একই চিত্র। এ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক প্রশ্ন ওঠে যে, সাংবাদিকমাত্রই কি নির্যাতনযোগ্য? তার উপর এ আইন মানে সাংবাদিকতা কোথায় গিয়ে দাড়াবে এটা কেহ কি একবার ভেবে দেখেছেন। সাংবাদিকদের ডাটাবেজ হচ্ছে ,সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আরো দেশে পূবের প্রচারিত আইন রয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির পরিধি বর্তমানে অত্যন্ত ব্যাপক। এর নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি ও তার প্রতিরোধের বিভিন্ন দিকগুলো ধাপে ধাপে উন্মোচিত হয়েছে এবং সে অনুযায়ী একটি দেশে একের অধিক আইনের প্রয়োজন রয়েছে কিন্ত সেটি কোন গোষ্ঠি কে ধ্বংশ করার জন্য হলে ঠিক হবে ন্।বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে সাইবার নিরাপত্তা বিল পাস হয়ার পর পর সাংবাদিকদের মেধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এই বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলের সদস্যরা এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে গণফোরামের সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, বিতর্কিত জিডিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ধারা এই আইনে যুক্ত করা হয়েছে। এটা অনেকটা নতুন বোতলে পুরনো মদ রাখার মতোই অবস্থা। আইনটি নতুন করে হচ্ছে, কিন্তু স্বস্তি ফিরে আসছে না। যেভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল, অনেকটা হুবহু সেভাবেই এই আইন করা হচ্ছে। জাতিসংঘ, সম্পাদক পরিষদসহ সাংবাদিকদের যেসব আপত্তি ছিল, উদ্বেগের বিষয় ছিল, সেগুলো রয়ে গেছে। ৯টি ধারা স্বাধীন সাংবাদিকতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে সংশোধনের দাবি জানিয়েছিল সম্পাদক পরিষদ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
Copyright © 2020 DainikBangladesh71Sangbad
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )