ভারতের কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম। দীর্ঘদিন ধরে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের জেরে বন্ধ করে দিয়েছিল ট্রেন চলাচল। শুধু মাত্র কয়েকটি ট্রেন চালু ছিল রেলওয়ে দপ্তর কর্মচারীদের জন্য এবং জরুরি পরিষেবার কাজে যুক্ত মানুষের জন্য। কিন্তু সাধারণ মানুষের পেটে চান পড়তে শুরু হয় জরুরি পরিষেবার ট্রেনে উঠে কাজে বের হবার চাহিদা। শুরু হয় গাদাগাদি করে ট্রেন মধ্যে যাতায়াত। এর মধ্যে সারা পশ্চিম বাংলায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এবং নির্বাচন পরবর্তীতে পশ্চিম বাংলায় ক্ষমতা দখল করে তৃনমূল দল। এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় বারের মতো গদিতে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে দিন সরকার চালানো রাস ধরেন সেই দিন তিনি ঘোষণা করেন, ৫,মে, থেকে ও নিদিষ্ট কালের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। সেই সাথে সরকারি ও বেসরকারি পরিবহন ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন ধরে সব কলকারখানা ও বেসরকারি সংস্থা বন্ধ থাকার কারণে সাধারণ মানুষের পেটে ভাত মরে যেতে বসেছে। তার উপর সরকারি সাহায্য নেই। নেই পযাপ্ত রেশনিং ব্যবস্থা। সাধারণত মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা পঙ্গু হয়ে পড়েছে। তাই সাধারণ মানুষ জীবন বাঁচাতে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভীড়ে ঠাসা সরকারি কর্মচারীদের জন্য ট্রেন উঠে পড়ে কাজে যাচ্ছেন। এর মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের চোখ রাঙ্গানি এবং রেলওয়ে পুলিশ ধড়পাকড় কখনো চলন্ত ট্রেনের মধ্যে থেকে লাফিয়ে পড়ে। তাতে জীবন হানি হয়। এবং প্রতিদিন ভীড় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। কিন্তু ট্রেন এর সংখ্যা কম থাকায় প্রতিদিন দুর্ঘটনার শিকার হন সাধারণ ট্রেন যাত্রীরা। এই নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে চলছে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বিক্ষোভ, তার আচ পাওয়া যায় গত পরশু। সেই সঙ্গে গত কাল একযোগে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সাধারণ ট্রেন যাত্রীরা, যার ফলে বন্ধ হয়ে যায় দক্ষিণ শাখায় সব যায়গায় ট্রেন, বারুইপুর এর মল্লিকপুর ও সোনারপুর এবং ক্যানিং এর ঘুটিয়াশরিফ ও বেথবেড়িয়া সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এবং এই বিক্ষোভ ভয়াবহ আকার ধারণ করে বারুইপুর এর মল্লিকপুর ইস্টাশনে। এখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন থামাতে গিয়ে বারুইপুর জি আর পি ও সোনারপুর জি আর পি ও রেলওয়ে পুলিশ ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। ছুটে আসে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপার জোনাল শ্রী ইন্দ্রজিৎ বসু আই পি এইচ এর নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী। উত্তেজিত জনতা কে ছত্রভঙ্গ করতে মৃদু লাঠিচার্জ করে। এবং সাধারণ ট্রেন যাত্রীরা পুলিশ গাড়ি ও পুলিশ কে লক্ষ্য করে ইট ও পাথর বৃষ্টি শুরু করে। দীর্ঘ সময় ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপার জোনাল শ্রী ইন্দ্রজিৎ বসু আই পি এইচ সাহেব সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে ট্রেন অবরোধ তুলে নেন। এবং বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপার জোনাল শ্রী ইন্দ্রজিৎ বসু আই পি এইচ তার উদ্দোগ এ এবং বারুইপুর রেলওয়ে স্টেশন কতৃপক্ষ রেলওয়ে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ডি আর এম কে বিষটি মানবিক দিক দিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করেন। এবং পূর্ব রেলওয়ে কতৃপক্ষ পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ফের চিঠি লিখে জানান যে ট্রেন চলাচল করার অনুমতি দেবার জন্য। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা নাকচ করে দেন। অবশেষে বাধ্য হয়ে মানবিক দৃষ্টি রাখতে রেলওয়ে কতৃপক্ষ রেলওয়ে কর্মচারীদের ও জরুরি পরিষেবার সাথে যুক্ত মানুষ পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীদের জন্য, ৪০,টি, ট্রেন বৃদ্ধি করে আজ থেকে ফের চালু করে দেন। এর ফলে সাধারণ ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে খুশির হাওয়া বইছে।। ভারতের কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।