ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি
আত্মহত্যা মামলার আসামীগণ থানা থেকে মামলা উঠিয়ে নেওয়া ও পুলিশকে আসামীর বাড়ী চিনিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন।
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নে গাড়াদিয়াকান্দা গ্রামের মোঃ রতন আহম্মদ এর মেয়ে জুঁই আক্তার তৃষ্ণা'র প্রেম ঘটিত কারণে আত্মহত্যার মামলার আসামীগণ থানা থেকে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য ও কেন আসামীর বাড়ী চিনিয়ে দেওয়া হয়েছে তার জন্য প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে যাচ্ছেন প্রেমিক তারেকের মামা যুবলীগ নেতা সৈয়দুজ্জামান স্বপন।
আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে নিহত জুঁই আক্তার তৃষ্ণা'র মা আসমা আক্তার বাদী হয়ে গত ২৮ আগস্ট কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় সৈয়দুজ্জামান স্বপন ও তার দুই মেয়ে রিয়া (১৮) ও প্রিয়া (২২) এবং প্রেমিক পুলিশ সদস্য সাইফুল্লাহ তারেক সহ তার বাবা আবুল কালাম (৪৫) কে আসামী করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ ও এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায়, উপজেলার গড়াডোবা ইউপির আউদাটি গ্রামের আবুল কালামের ছেলে পুলিশ সদস্য সাইফুল্লাহ তারেকের সঙ্গে জুঁই আক্তার তৃষ্ণা'র সাথে প্রায় ৭ বছর পূর্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এরই মাঝে প্রেমিক তারেকের পুলিশে চাকুরী হয়। চাকুরী হওয়ার পর থেকে সম্পর্কে টানাপোড়েন ঘটতে থাকে।
গত ১৯ আগস্ট বুধবার বিকাল ৬টার দিকে জুঁই “যার কারণে ছাড়লাম জগত সংসার” ‘‘(টি.জে) অর্থাৎ তারেক + জুঁই ’’ একটি চিরকুট লিখে নিজ গৃহে গলায় শাড়ি পেচিয়ে আত্মহত্যা করে জুঁই।
আত্মহত্যার এঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্য ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকে প্রেমিক তারেকের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবীও উঠে। এদিকে মামলা উঠিয়ে নিতে বাদী আসমা আক্তারের দেবর আব্দুল মান্নানকে প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে গত ৩১আগস্ট কেন্দুয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন আব্দুল মান্নান।
আব্দুল মান্নানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন-মামলার আসামী গড়াডোবা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ সৈয়দুজ্জামান স্বপন ও অন্য আসামীগণ গত ২৯আগস্ট বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে গড়াডোবা ইউনিয়নের শিমুলতলা বাজারে জৈনেক মোস্তফা'র মনোহরী দোকানে পাইয়া কতক সাক্ষীগণের সামনে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকী প্রদান করে। আর মামলা তুল না নিলে আমাকে ও আামার পরিবারের অন্যান্য লোকজনকেও প্রাণে মেরে ফেলবে মর্মে ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদর্শন করছে। এজন্য আমরা খুবই আতঙ্ক গ্রস্তের মধ্য জীবনযাপন করে আসছি। তাদের ভয়ের কারণে আমরা বাড়ীর বাহিরে বা কাহারো সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারছিনা।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, প্রেম গঠিত বিষয় থেকে জুঁই আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে বুঝা যাচ্ছে। আর যাহারা মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
উপদেষ্টা আওরঙ্গজেব কামাল ঢাকা প্রেসক্লাবের সভাপতি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত