নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রামের পটিয়া সদরের বাহুলী সিকদার পাড়া নতুন বাড়ি এলাকায় এক গৃহবধুকে হাত পা রশি দিয়ে বেঁধে নির্মম নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে গৃহবধুকে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। এ ঘটনায় গৃহবধু শারমিন আকতার(৩২) বাদী হয়ে পটিয়া থানায় গত ১৫ মে স্বামী শ্বাশুড়ি, শ্বাশুরসহ কয়েজক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানায়, শারমীন আক্তারের স্বামী জানে আলম(৩৫), শ্বাশুড়ী মমতাজ বেগম(৬২), শ্বাশুর সামশুল আলম(৭০) মিলে বিভিন্ন সময় মারধর করে আসছে। স্বামী জানে আলম একজন মাদক সেবী এবং ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত মাদক সেবন করে মাতাল অবস্থায় প্রায় সময় মারধর করে থাকেন। গত ১৪ মে সকালে এবং বিকালে গৃহবধু শারমীন আকতারকে দুই দফায় নির্মমভাবে মারধর করতে থাকেন। বিষয়টি গৃহবধু শারমীন আকতার তার বাপের বাড়িতে জানালে পটিয়া থানা পুলিশের এস আই ওমর খানের সহায়তায় উদ্ধার করে পটিয়া হাসপাতালে ভর্তি করান। অভিযুুুুুুুুুুক্তরা স্বপরিবার বিভিন্ন অপরাধের সাথে যুক্ত বলে স্থানীয়রা জানান। পটিয়া উপজেলা নারী জাগরণ সংস্থা নামের একটি এনজিওর মাধ্যমে থানা পুলিশের সহায়তা নেন।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধু শারমীন আক্তার জানান, ২০১৭ সালে বিয়ের পর থেকে তারা আমাকে বিভিন্ন অযুহাতে নির্যাতন করে আসছে। গত ১৪ মে আমাকে হাত পা রশি দিয়ে বেঁধে মাটিতে ফেলে লাটি দিয়ে পিটিয়েছে পরে পুলিশের সহায়তায় আমাকে এবং আমার শিশু সন্তানকে তাদের নির্যাতনের হাত থেকে উদ্ধার করেন পুলিশ। আমি থানায় অভিযোগ করার পর বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে পটিয়া থানার এস আই ওমর খান জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় আরও অভিযোগ রয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
উপদেষ্টা আওরঙ্গজেব কামাল ঢাকা প্রেসক্লাবের সভাপতি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত