আবু ইউসুফ নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পাবনা জেলার গর্বিত মহিলা মুক্তিযোদ্ধা ভানু নেছা আর নেই তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে শুক্রবার (২৬)ফেব্রুয়ারি দুপুর (২)টার দিকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার তেঁথুলিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল( ৯৫) বছর মৃত ভানু নেছার নাতি শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ কে জানান(১০) বছর আগে স্ট্রোক করার কারণে চলার শক্তি হারিয়ে ফেলেন ভানু নেছা তিন বছর ধরে একেবারেই শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি জীবনের শেষ সময়ে এসে কথা বলার শক্তিও হারিয়ে ফেলেছিলেন তরল খাবার ছাড়া কিছু খেতে পারতেন না ভানু নেছা শুক্রবার বিকেলে জানাজা শেষে তেঁথুলিয়া কবরস্থানে ভানু নেছাকে দাফন করা হবে তার আগে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভানু নেছাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জামাল আহমেদ উল্লেখ্য করে বলেন পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের তেঁথুলিয়া গ্রামের আব্দুল প্রামাণিকের স্ত্রী ভানু নেছা মুক্তিযোদ্ধাদের বাঙ্কারে গোলাবারুদ সরবরাহ সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণসহ বিভিন্নভাবে মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন তিনি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান(১৯৭১) সালে পাবনার সাঁথিয়ায় বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন ভানু নেছা।
সে সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গোলা বারুদ মাথায় করে মুক্তিযোদ্ধাদের বাঙ্কারে পৌঁছে দিতেন তিনি একবার তিনি গুলিতে আহতও হয়েছিলেন সাঁথিয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল লতিফ বলেন একাত্তরে নন্দনপুরে যখন পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হয় তখন আমরা বাঙ্কারে ছিলাম ওই সময় ভানু নেছা আমাদের অনেকভাবে সহযোগিতা করেছিল।
আমাদের গোলাবারুদ ফুরিয়ে গেলে আমি তাকে চিঠি লিখে সাঁথিয়া থানায় গিয়ে গোলাবারুদ আনতে বলেছিলাম তখন সে থানা থেকে গোলাবারুদ এনে আমাদের দিয়েছিল নন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস বলেন ভানু নেছা ছিলেন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা সাঁথিয়া স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে রণাঙ্গনে ছিলেন ভানু নেছা সে অনেক সাহসী একটা মহিলা ছিলেন তিনি।
উপদেষ্টা আওরঙ্গজেব কামাল ঢাকা প্রেসক্লাবের সভাপতি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত