মোঃ মেহেদী হাসান, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো প্রধানঃ
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে রাজশাহী গণপূর্তর আয়াজনে ‘বঙ্গবন্ধুর উনয়ন ভাবনা প্রেক্ষিত অবকাঠামো শীর্ষক আলাচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গণপূর্ত সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলন বাংলাদশ আওয়ামী লীগর প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
সভার শুরুত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের শহীদগণ ও জাতীয় চারনেতার স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং নিরবতা শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলন, বাঙালির রয়েছে অনেক গোরব গাথা ইতিহাস। অনেক চড়াই-উৎরায় পরিয় আজ বাংলাদশ নামক ভূখন্ড পেয়ছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শখ মুজিবুর রহমান একজন মহামানব। ঘাস থেকে বটবৃক্ষ পরিণত হয়েছেন তিনি।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা আন্দোলন করে তিনি এক মহান নেতাই পরিণত হয়েছেন। তার মতা খুব কম নেতাই পথিবীর ইতিহাস এমন স্মরণীয় হয় আছন। তিনি এমন কাজ করতেন যা মানুষের মনে জায়গা কর নিতেন। মুক্তিকামী মানুষের অধিকার আদায়র জন্য তিনি সারাজীবন গ্রেফতার কারাবরণ গ্রহণ করে ছিলেন।
মেয়র আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন করার পর প্রথম ভঙ্গুর দশক গড় তুলত ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ, ৫টি গ্যাসক্ষত্র নিজ মালিকানায় ক্রয়, কৃষিক্ষত্রর উন্নয়নসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ শুরু করেন।
বঙ্গবন্ধুর সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার সেই স্বপ্ন পূরণ কাজ করছেন তাঁরই সুযাগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাত্র কয়েক বছর দশটি সকল দিক দিয়ে এগিয়ে নিত নির্লসভাব কাজ শুরু করার পরই ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুক হত্যা করা হয়। যা বাঙালি জাতির জন্য এক লজ্জাজনক বেদনাদায়ক অধ্যায়।
বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে স্মতির কথা স্মরণ কর রাসিক ময়র বলেন, ছোটবেলায় ধানমন্ডির ৩২নং বাসায় দুইদিন আমরা দুই ভাই একসাথে থাকার সোভাগ্য হয়। সেখান জাতির পিতার পরিবারর সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানো সুযোগ হয়। আরেকটি স্মৃতি আমাদের ঢাকার বাড়িত ঈদের দিনের কথা মন পড়ে। সেদিন বঙ্গবন্ধু তার একটি
সহকর্মী আমার পিতা জাতীয় চার নতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানর সঙ্গে ঈদের শুভেছা বিনিময় করতে আসেন। গাড়ি থেকে নেমে হেনা বলে ডাকতে আমার পিতা সিড়ি দিয়ে দৌড়ে নেমে এসে ঈদের আলিঙ্গন করেন। তখন বঙ্গবন্ধু আমাদের দেখে ডাক দিয় বলন, আয় আমার কাছ। এরপর তিনি আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করেন আর পিঠে থাবা দেন। আজও আমার সই হৃদয় কম্পন জরিয়ে রেখেছে। তাঁর সই আদর্শ নিয়ে এগিয়ে চলছি। মানুষ চলে যায় রেখে যায় তার কর্মময় স্মতি। বঙ্গবন্ধু চলে গেছেন কি রেখে গেছেন কীর্তি।
মেয়র আরও বলন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উনয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন ডেল্টাপ্ল্যান প্রণয়ন করেছেন। সারাদেশের ন্যায় রাজশাহীর উন্নয়নও বিশেষ অবদান রাখছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সিটি কর্পোরেশনের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমাদন দিয়েছেন। প্রকল্পটির আওতায় নগরীতে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছেন। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় রাজশাহীকে এগিয়ে নিতে চাই।
রাজশাহী গণপূর্ত জানর অতিরিক্ত প্রধান প্রকশলী মাঃ মিছবাহ উদ্দিন’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপ-উপচার্য প্রফেসর মু. নূরুল্লাহ, মূখ্য আলাচক হিসেবে খুলনা সাবেক উপাচার্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়র ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর মোহাম্মদ ফায়ক উজ্জামান বক্তব্য দন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী গণপূর্তর তত্ত্ববধায়ক প্রকোশলী ফজলুল হক। সভায় বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের জিএম অসীম কুমার তালুকদার, অতিরিক্ত ডিআইজি পদ পদন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার রশীদুল হক, আইইবি চেয়ারম্যান মাঃ আবুল বাশার, সড়ক ও জনপথ রাজশাহীর অতিরিক্ত প্রধান প্রকশলী সাদিকুল ইসলাম, তত্বাবধায়ক প্রকোশলী হাফিজুর রহমান, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রধান প্রকোশলী আশরাফুল হক, গণপুর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকোশলী-১ হারুন অর রশীদ, নির্বাহী প্রকোশলী-২ মোস্তাফিজুর রহমান, এলজিইডির নির্বাহী প্রকোশলীগণ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলন।
##
উপদেষ্টা আওরঙ্গজেব কামাল ঢাকা প্রেসক্লাবের সভাপতি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত