নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার বড়থা গ্রামের আনোয়ার হোসেন নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে অর্থের লোভে প্রতারণা ও থানায় মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন উপজেলার বড়থা গ্রামের আনোয়ার হোসেন, হারুনুর রশিদ, তরিকুল ইসলাম ও বিহারী নগরের আবুল কালাম আজাদ এই চারজনসহ আরো কয়েকজন মিলে একটি প্রতারক চক্র গড়ে তুলেছে একটি গ্রুপ।তারা বিভিন্ন জনকে প্রতারনার ফাঁদে আটকিয়ে অর্থ উপার্জন করায় তাদের পেশা। তারা অর্থ লোভে কয়েকদিন আগে আমার নামে একটি মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করে স্থানীয় থানায় যে, বড়থা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রীকে আমি নাকি উপস্থিত থেকে গত ২৯ তারিখ সন্ধা ৬:১৫ সময়ে মারধর করেছি, কিন্তু আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম প্রজেক্টে অনেকদিন আগে থেকেই কাজে ব্যস্ত থাকায় গ্রামের বাড়িতে যেতেই পারি নাই বলে জানান শহিদুল ইসলাম।
এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না সত্য কিন্তু হারুন, তরিকুল, কালাম ও মোজাফ্ফর এর মুখে শুনেছি যে, শহিদুল ইসলাম আমাকে মারধর করতে চেয়েছেন মোবাইলে, যার কারণে আমি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি, তাও অভিযোগ করতাম না কিন্তু তরিকুল ইসলাম, হারুনুর রশিদ, আবুল কালাম আজাদ, মোজাফফর আমাকে কুবুদ্ধি দিয়ে যেখানে স্বাক্ষর করতে বলেছে আমি সেখানে না পড়ে দেখেই স্বাক্ষর করেছি, আমি মূর্খ মানুষ। কিন্তু তাকে ফাঁসানো আমাদের দরকার এও দাবী করেন আনোয়ার, যদিও আনোয়ার জানান যে, মোবাইলের কোন তথ্য আমাদের কাছে নাই। হারুন, তরিকুল, কালাম ও আরো কয়েকজন মিলে আমাকে এ কুবুদ্ধি দিয়ে থানায় আমাকে সাথে নিয়ে গিয়েছে ও অভিযোগের সব কিছুই তাদের মতো করে করেছে তরিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান যে, ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলাম বড়থা গ্রামে মারামারির সময় ছিলেন না কিন্তু আমরা তাকে ফাঁসানোর জন্যই অভিযোগ দিয়েছি এবং আরো যা করা লাগে আমরা করব বলে জানান তিনি। আমাকে যে কোন কাজে যে কেহ ব্যবহার করতে পারে, কোন অসুবিধা নাই। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে আসে প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল ইসলাম দীর্ঘ তিন মাস ধরে তিনি এলাকায় নাই। তাহার বাসা ঢাকা ও অফিস যথাক্রমে চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম একটি প্রকল্পের কাজ করতেন অনেকদিন যাবত এলাকায় মারামারিতে তিনি ছিলেন না কিন্তু এলাকার হারুনুর রশিদ আনোয়ার হোসেন আবুল কালাম আজাদ তরিকুল ইসলাম প্রতারক চক্রের সদস্যেরা তার থেকে কিছু অর্থ নেওয়ার জন্য অর্থাৎ টাকা আদায় করার জন্য এই অভিযোগ দায়ের করেন এবং ভুয়া তথ্য দিয়ে বিভিন্ন অনিবন্ধিত অনলাইনে নিউজ প্রকাশ করেন। তাহার কাছ থেকে অর্থ আদায়ের জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। এলাকার স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে জনাব শহিদুল ইসলাম এলাকার একজন সম্মানীয় ব্যক্তি, বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি ও অত্যন্ত একজন সাদা মনের মানুষ। তিনি কখনোই এরকম ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তাকে ফাঁসানোর জন্য এই প্রতারকদের ফাঁসানো ফাঁদ বলে জানিয়েছেন এলাকার কয়েকজন স্থানীয় নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক ব্যক্তিগণ। এ বিষয়ে ধামইরহাট থানার এসআই শফিকুল ইসলাম বলেন যে, অভিযোগ তদন্ত করেছি কিন্তু উনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না, ঘটনার বর্ননার সত্যতা প্রমাণিত না হওয়ায় এজারহারটি বাতিল করা হয়েছে, তবে বাদী হিসাবে জনাব শহিদুল ইসলাম অভিযোগ দিলে, উল্লেখিত প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে, বলে তিনি জানান।