বিশেষ প্রতিনিধিঃ-
দেশে ভয়াবহ হারে বাড়ছে প্রতারকএর সংখ্যা
এমনই একজন প্রতারক মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল।
তাহার পিতা মোঃ খালেক মন্ডল। মাতা মরিয়ম বেগম।গ্রাম ঈশ্বর লক্ষীপুর।ইউনিয়ন সফাপুর। ডাকঘর পাটা কাঠা। থানা মহাদেবপুর।জেলা নওগাঁ।
অনেক দিন ধরেই তিনি তার এলাকা ছাড়া।পারিবার থেকে এবং সমাজের মানুষের থেকে টাকা পয়সা নিয়ে টাকা না দিয়ে এবং বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে রাজশাহী থেকে ফেরারি হয়ে অবস্থান নেন ফরিদপুরে।এখনে এসে নিজের নাম পরিবর্তন করেন।এবং অনেকের থেকে কৌশলে ব্যাবসার কথা বলে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন।ফরিদপুরে এসে নিজেকে পরিচয় দেন এতিম, তার বাবা মা নেই,এতিম খানায় মানুষ হয়েছে।কখনও পরিচয় দেন তিনি একজন শিল্পপতি, আবার কখনও আওয়ামী লীগের বড় নেতা। এমন মিথ্যা বলে অনেকের ভালোবাসা জয় করে নিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা।
কখনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকদের আত্নীয় পরিচয় দিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখান।
তার বাবা খালেক মন্ডল এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন ১ বছর হলো ফেরারি, মানুষেমানুষের টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়ে এখন উধাও।ওর ছেলেটাও আমাদের কাছে।আমি দিনমজুর দিন আনি দিন খাই।
ফরিদপুরের মানুষ যখন সকলেই তাহার অপকর্মের ব্যাপারে জানতে পারেন তখনই এই জুয়েল ফরিদপুর থেকেও গাঁ ঢাকা দেন।
এই লোকের বিরুদ্ধে যেই কিছু বলছে এবং যারাই তাকে ফোন করছে তাদেরকেই হুমকি দিচ্ছেন এই প্রতারক ভন্ড মানুষিক রোগী। শুধু হত্যার হুমকিই না বিভিন্ন ফেক আইডি দিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে কথা বলা সকলের পরিবার আত্মীয় স্বজনদেরকেও ফোন দিয়ে মেসেজে দিয়ে উল্টো পাল্টা মিথ্যা বলে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন।এবং খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।এমনকি সবাইকে মেরেফেলার হুমকি দিচ্ছেন।
প্রত্যােক পাওনাদারদেরকে ভয় দেখাছেন। পাওনাদারদের বলছেন বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাদের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করবে।তার কাছে যেই টাকা চাইবে বা কোন কিছু বলবে তাদের কাওকে ভালো থাকতে দিবে না।
এই প্রতারক জুয়েল ফরিদপুরে অবস্থান নিয়ে অনেক নিরীহ মেয়েদেরকেও নিজের প্রতারণার জালে জড়িয়ে নিজেকে ককনও এতিম কখনও আওয়ামীযুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ব্যাবসার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেন।
নাম প্রকাশ না করার সর্তে এক নারী বলেন তার দুইটা অটো ছিলো ভাড়া দেওয়া তাকে ব্যাবসার কথা বলে অটো ও গহনা বিক্রি করে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেন।পরবর্তীতে তার কাছে লাভের টাকা চাইলে সে টাকা দিতে ঘরিমসি করেন।তারপরে বিভিন্ন তালবাহানা জোড়া দেন।পরবর্তীতে তার মিথ্যা পরিচয় সম্পর্কে জানলে আসল টাকা ফেরত চান এবং অন্যদের কাছে তার পরিচয় ফাঁস করে দেন।এই টাকা ফেরত চাওয়ায় এবং তার প্রতারণার ব্যাপারে সবাইকে বলে দেওয়ায় খেপে গিয়ে তাহার নামে এবং তাহার পরিবারের নামে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার করে তাদের সন্মান হানি করছেন এবং তাদেরকে ফোন দিয়ে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর একজন মহিলা বলেন তাকে এতিম পরিচয় দিয়ে এবং ব্যাবসার কথা বলে তার থেকে ২ লক্ষ টাকা নেন।তারপর আর ফেরত না দিয়ে উল্টো হুমকী দিচ্ছেন।
এমনও আরো অনেকেই সন্মানের ভয়ে কোন কথা বলতে রাজি হন নাই।
ফরিদপুর টেপাখোলা বাজারের অনেক ব্যাবসায়ীর থেকেও মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন নিরুদ্দেশ।
এর বিরুদ্ধে অনেকেই আইনের আশ্রয় নেবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
এই প্রতারক রাজশাহী মাদক ব্যাবসার সাথে জড়িত ছিলেন।
এই প্রতারক এর কাজই হচ্ছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে সহজ সরল মানুষকে ঠকিয়ে, অনেক সময় ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং ব্লক মেইল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া।
ফরিদপুর জেলা অনেককেই সর্বশান্ত করে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন এবং তাকে ফোন দিয়ে টাকা চাইলে জুয়েল তাদেরকে হত্যা সহ নানান ভয়ভীতি দেখান।এই প্রতারক এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী সকলেই।
এই প্রতারকের বিরুদ্ধে সাংবাদিক প্রশাসনকে জানালে তাকেও হত্যার হুমকি দেন। পরবর্তীতে সাংবাদিক ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় জুয়েলের বিরুদ্ধে সোমবার সকাল ১০ঃ১৫ মিনিটে একটা সাধারণ ডায়রি(জিডি) করেছেন যাহার নাং ১৯।