মোঃ মেহেদী হাসান মুন্না, বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান, রাজশাহীঃ

ইকরা মডেল মাদ্রাসা’র পক্ষ থেকে সুপেয় পানি, খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০২ মে ২০২৪) নগরীর তালাইমারি ট্রাফিক মোড়ে সুপেয় পানি,খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করা হয়।

এতে সরেজমিনে উপস্থিত ছিলেন ইকরা মডেল মাদ্রাসা’র পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন। তিতি নিজে উপস্থিত থেকে জন সাধারণের মাঝে শরবত বিতরণ করে থাকেন ।

তীব্র গরমের বিষয়ে ইকরা মডেল মাদ্রাসা’র পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা রাজশাহীবাসী গরমে অতিষ্ঠ। নিম্ন আয়ের মানুষ সহ খেটে খাওয়া দিনমজুর, দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা অনেক কষ্ট করে রোদে পুরে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে। তাই এই গরমে জন-সাধারণকে সুপেয় পানি, খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করছি। কারণ মানুষ মানুষের জন্য.. জীবন জীবনের জন্য। তাই আমি জনসাধারণ কে শরবত খাওয়াতে পেরে আমি অনেক খুশি।

এছাড়াও গত কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে রাজশাহী জেলায়। যা আজকের তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

গত কয়েকদিন ক্রমবর্ধমান হারে তাপমাত্রা বাড়ায় বিপাকে প্রাণীকুল। প্রবল গরমে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফাঁকা হয়েছে রাস্তাঘাট, কমেছে যানবাহন।

আর পথচলতি মানুষের ভরসা ডাবের জল , ঠাণ্ডা পানীয় এবং আইসক্রিম । লু-হাওয়া থেকে বাঁচতে মুখে জড়িয়েছেন কাপড়।

অন্যদিকে, অনেকেই ডায়রিয়া, আমাশয়, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন ধরনের মৌসুমি রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। বেড়েছে বয়োবৃদ্ধ ও শিশুদের কষ্ট-দুর্ভোগ। গরমের তীব্রতার কারণে তৈরি হয়েছে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি।

এ পর্যন্ত জেলায় হিটস্ট্রোকে মারা গেছে একজন। চিকিৎসকরা তাপদাহে বেশি করে বিশুদ্ধ পানীয় পানের এবং রাস্তাঘাটে খোলা, অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

সহসাই বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকায় এমন বৈরি দশা চলবে অন্তত ২ মে পর্যন্ত, এমনটাই বলছেন আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা।

রাজশাহী আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার রাজশাহীতে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে।

আজকের তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় যে খারাপ অবস্থার তৈরি হয়েছে, তা আগামী ২ তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে।