আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরের চাঁন্দুড়িয়া ইউপির দেওতলা মোড়ে ছোট শিশুকে (নাতনি) নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন জীর্ণশীর্ণ কাপড় পরিহিত বৃদ্ধ বয়সী এক নারী। তখন সময় প্রায় দুপুর।(এটা ঈদুল-ফিতরের তিন দিন আগের ঘটনা) এদিন স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী রাজশাহী শহর থেকে সড়ক যোগে তানোর উপজেলায় খাদ্য সহায়তা বিতরণের একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করতে আসছিলেন। দেওতলা মোড়ে আশা মাত্র ওই বৃদ্ধ বয়সী নারীর ওপর সাংসদের চোখ পড়ে তাকে দেখেই থমকে দাঁড়ায় সাংসদ। এ সময় তিনি গাড়ী থামিয়ে নেমে এসে তাঁর মাথায় হাত বুলিয়ে মা সম্বোধন করে জানতে চান তিনি কেমন আছেন ও এখানে কেনো দাঁড়িয়ে আছেন তার সমস্যা কি ? জবাবে ওই নারী জানান, তিনি তার নাতনিকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে যাচ্ছেন ঈদের আগে কিছু সাহায্যের আশায়। এ সময় এমপি ফারুক চৌধুরী তার গাড়ী থেকে শুকনো খাবার, মাস্ক ও কিছু নগদ অর্থ ওই নারীর হাতে তুলে দিয়ে বলেন, যাদের ঘরে আবার নাই তারা যেনো তার হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করেন। এমপি ফারুক চৌধুরীর এমন আচরণে এমন আচরণে মুগ্ধ হন ওই বৃদ্ধ বয়সী নারী ও সেখানে উপস্থিত সাধারণ মানুষ। এদিকে ১ আগস্ট থেকে এমপি ফারুক চৌধুরী
তানোর ও গোদাগাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষের মাঝে সহায়তা হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছেন। জানা গেছে, ১ আগস্ট রোববার তানোরের সরনজাই ও চাঁন্দুড়িয়া ইউপির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে তিনি পথচারী ও হতদরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী ও মাস্ক পৌচ্ছে দিয়েছেন। অন্যদিক ২ ও ৩ আগষ্ট গোদাগাড়ী পৌরসভা ও দেওপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে পথচারী ও কর্মহীন হতদরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী-মাস্ক বিতরন করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব উপকারভোগীরা জানান, এমপি সাহেব অনেক ভালো মানুষ। তিনি আসলেই যে গরীব মানুষের খোঁজ খবর নেন বা গরীবের এমপি তার প্রমাণ পেলাম। আমরা এমন এমপিকেই আমাদের পাশে চাই। যিনি বিপদে-আপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন। নেবেন গরীবের খোঁজ খবর। একেবারে প্রত্যন্ত পল্লীর ঘাঁমে-ভেঁজা-পা-ফাটা কৃষক কিংবা শহরের রিক্সাচালক যে কেউ খুব সহজেই ফারুক ভাই সম্বোধন করে তার কাছে যেতে পারে বলতে পারে যে কোনো সমস্যার কথা। এমপি ফারুক চৌধুরী কর্মী-জনবান্ধব এই রাজনৈতিক নেতাকে গরীবের এমপি বলা হয়।জমিদার পরিবারের সন্তান হয়েও তার মধ্য নেই কোনো অহংকার জীবনযাপনেও অনেক সাদাসিধে নেই কোনো জড়তা স্পস্টবাদী ও কৌতুক প্রিয় এই নেতা যেকোনো অনুষ্ঠান বা রাজনৈতিক কর্মসুচি যেখানেই যায় সেখানেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে সহজেই মিশে হয়ে উঠে তাদেরই একজন।আর তাইতো তাকে গরীবের এমপি বলা হয়। বাংলাদেশের গতানুগতিক রাজনীতিতে যা অনেকটা বিরল। কারণ এখানো যেখানে অধিকাংশ মেয়র বা ইউপি চেয়ারম্যানের সাক্ষাত পেতে সাধারণ মানুষকে তাদের মুরিদ ধরে আসতে সেখানে এমপি ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে সরাসরি যেকোনো মানুষ কথা বলতে পারেন।এছাড়াও অন্যরা যখন ঢাকায় অবস্থান করতে পচ্ছন্দ করেন,তখন এমপি ফারুক চৌধুরী নির্বাচনী এলাকায় থাকতে পচ্ছন্দ করেন এবং থাকেন।#