এম এ মমিন আনসারীঃ কর্ম না করেই সহজে টাকার পাহাড় করা যায় তারই বাস্তব উদাহরণ এই জুবেল, সে জামাল পুর জেলার পিংনা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব পালন করে আসছেন দীর্ঘ দিন যাবত, তারাকান্দি ট্রাক ও ট্যাংক লড়ী মালিক সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক (মুকুল) তার (জুবেল) এর ভগ্নীপতি, এই পরিচয়ে সে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মুরাদ হাসান নৌকা মনোনীত বিজয়ী হওয়ার পর থেকে তাকে আর পিছনে তাকাতে হয় নাই,সে পিংনা গোপালগঞ্জ হাটের হিসাব রক্ষক এর দায়িত্ব পান সেই সাথে পিংনাতে অবৈধ ভাবে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তলোন করা থেকে অস্ত্র,ইয়াবা,গাজা,হেরোইন থেকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে আসছেন বলে যানা যায়, ২০১৬-২০১৮ সালের নির্বাচনের আগ মূহুর্তে তার সংসারে যেনো এক নির্মম পরিনীতি চলে আসে, এমনকি সে তার ছোট বোন জামাই ( মোজাম্মেল হক মুকুল) এর অফিস থেকে টাকা চুরির সাথেও সে জড়িত, সে নির্বাচনের পরে হাটের হিসাব রক্ষক হওযার পর তার বিলাসিতার যেনো শেষ নাই, সে রজকীয় ভাবে সংসার চালায় এমনকি তার বাসায় কাজের মহিলাও নাকি দুইজন, সাথে মেয়েকে স্কুলএ নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসা হয় প্রাইভেট কারে, তার বর্তমানে একটি Premio গাড়ী, বিলাসিতার জন্য উন্নতমানের বাসা এসি, জেনারেটর সহ রুমে আছে অত্যাধুনিক মানের সকল ব্যাবহারের জিনিসপত্র, তার এই টাকার উৎস কোথায় থেকে আসলো এই বিষয়ে তার ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতির কাছে যানতে গেলে তিনি বলেন আমি হাট ভিটার ছিলাম তাকে হিসাব রক্ষক হিসাবে দায়িত্ব দেই, আমি নিজেও এত সৌখিন ভাবে চলাচল করতে পারি না,
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি পিংনা গরুর হাটে রওনা, গরুর হাটে দালালি, গরুর হাটে বীট তৈরি করে টাকা উপার্জন করে সংসার পরিচালনা করেন এতে তাকে সব কাজে সহযোগিতা করেন তার বড় ভাই পান জুয়েল। এই দুই ভাই তখন পিংনা ইউনিয়ন যুবলীগের শীর্ষ ক্যাডার হিসেবে ইতিমধ্যে সবার কাছে পরিচিতি লাভ করেন।জুবেল প্রতিদিন গাজা ও ইয়াবা সেবন করে এবং বিক্রি করে থাকেন। এলাকার বিভিন্ন চুরির সাথেও সে সম্পৃক্ততা ছিল। ২০১৮ সালে ডঃ মুরাদ হাসান ক্ষমতায় আসার পর তিনি পিংনা গরুর হাটের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি এলাকার ডন হয়ে যান।সে হিসাব রক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর তার রাজকীয় চলাফেরা করনে তাকে হাট থেকে বের করে দেই সাথে মুরাদ ভাই তাকে তার বাসা থেকে বের করেওয়ার কথা যানতে পারি, সে সাথে ভগ্নীপতির দাপটে সে এখনো কিশোর গ্যাং, মাদক সম্রাজের সম্রাট নামে খ্যাত, তার রাজনৈতিক গুরু বলে যানা যায় পিংনা ইউনিয়ন আওয়ামীগীরে বর্তমান সাধারণ-সম্পাদক আব্দুস সামাদ(বাংলার বাবু) এক সময় ক্যাডার হিসেব পরিচিত ছিলো এই জুবেলের, নেশার পাশাপাশি মেয়ে নিয়ে ফূর্তি করা প্রতিনিয়ত তার পেশা বলে তার একজন ভাতিজা যানান এই অপর্কমের কথা, তার সেই কথিত ভাতিজা বলে আমাকে সাথে নিয়ে বগুড়া মম-ইন হোটেলে মেয়ে,মদ,গাজা, ইয়াবা তার প্রতিদিনের পেশা, আমাকে সাথে নিয়ে গেলে ১/২হাজার টাকা দেয় এই জন্য তার সাথে যাই, তার নেশা জাতীয় দ্রব্য আমার কাছে রাখতে দেয় বলে আমি তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেই, সে অগাধ সম্পত্তির মালিক, তার বোন এবং তার ভগ্নীপতির একাউন্টে সে তার সমস্ত টাকা সেইখানে রাখে বলে যানা যায়।
এ বিষয় সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্হা নেয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকার সচেতন মহল।