সাদিয়াত হোসেন: (টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি)
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের চরহামজানী গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত ধলেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বাংলা ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছে চরদুর্গাপুর গ্রামের রাসেল, কাওসার,রাব্বি, সহ দীর্ঘদিন যাবত রমরমা বালুর ব্যবসা করে আসছে কতিপয় বালু ব্যবসায়ী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায, চরহামজানী গ্রামের পশ্চিশ পাশে বেড়ীপটল কবরস্থানে পূর্বপাশে বাংলা ড্রেজার দিয়ে প্রায় ৬০ ফিট গভীর করে বালু উত্তোলন করে পাইপ লাইন দিয়ে প্রায় ৩ কি:মি: দুরে চরদুর্গাপুর গ্রামের বিভিন্ন বাড়ীতে মাটি ভরাট করছে। এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে প্রতিবছর বন্যা মৌসুমী আশেপাশের বাড়িঘর ও আবাদী জমি ভেঙ্গে যায় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
বালু ব্যবসায়ী মুল হোতা মনিরুজ্জামান রাসেল দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক ও রাজ্জাক মাষ্টারের ছেলে। রাজনীতির সাথে জড়িত ও এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ার তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের কে বিভিন্নভাবে হুমকি -ধামকি দিয়ে থাকে। ইতিপূর্বেও তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও স্থায়ীভাবে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
চরহামজানী গ্রামের জমির মালিক আব্দুল বাতেন বলেন আমি ইতিপূর্বে কয়েকবার নিষেধ করার পরও এরা মানছে।এভাবে বালু উত্তোলন করলে পাশে আমার জমিটা ভেঙে যাবে।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর ধারা ৫-এর ১ উপধারা অনুযায়ী পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূ‚গর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। এমন সরকারি বিধিনিষেধ থাকলেও কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন যাবত বালু উত্তোলন করে আসছে বালু ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে কালিহাতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুল হুসাইন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,তদন্ত করে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।