বাহাদুর চৌধুরী সাংবাদিক নির্যাতন বিরোধী সংগঠন ও ৬৪ জেলা সাংবাদিক ফাউন্ডেশন
টিপি চেকের নামে ঢাকা বন বিভাগের জয়েন্ট চেক স্টেশন কার্যালয় কালিয়াকৈর ফরেষ্ট ষ্টেশন এ কর্মরত ষ্টেশন অফিসার মনজুরুল আলম এবং বন কর্মকর্তা আশরাফুল আলম এর নেতৃত্বে চলছে বনকর্মীদের রমরমা ঘুষ বানিজ্য।সরকারি মালিকানাধীন চরভূমি ও সৃজিত বন বাগান হতে বনজদ্রব্য আহরণ করতে হলে বনজদ্রব্য আহরণের বৈধতার প্রমাণস্বরূপ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন বন কর্মকর্তার নিকট হতে ফরম-৫ বা, ক্ষেত্রমত, ফরম-৬ এ ইস্যুকৃত সার্টিফিকেট অব অরিজিন ও উহার একটি অনুলিপি গ্রহণ করিতে হবে।যাকে সংক্ষেপে টিপি বলা হয়।এই টিপি চেকের নামে বন বিভাগের কর্মকর্তারা কালিয়াকৈর ফরেষ্ট ষ্টেশন এর জয়েন্ট চেক স্টেশন কার্যালয়ে গাড়ী থামিয়ে প্রতিদিন শত শত গাড়ী থেকে ২২০০ টাকা ও ১০২০ টাকা হারে উৎকোচ গ্রহন করে।কালিয়াকৈর ফরেস্ট স্টেশন, কালিয়াকৈর রেঞ্জ,ঢাকা বন বিভাগ এর কালিয়াকৈরে কর্মরত ষ্টেশন অফিসার মনজুরুল আলম এবং বন কর্মকর্তা আশরাফুল আলম এর নেতৃত্বে বনকর্মীরা এসব টাকা টিপি চেকের নামে ঘুষ হিসেবে নেয়।গত ২৩ মে ২০২১ ইং তারিখে বগুরা থেকে আগত একটি ট্রাক নং ঢাকা মেট্রো-ট ১৪-৯৯৯০তে গাছ ভর্তি করে ঢাকা প্রবেশের সময় জয়েন্ট চেক স্টেশন কার্যালয় কালিয়াকৈর ফরেষ্ট ষ্টেশন এর কর্মকর্তা ষ্টেশন অফিসার মনজুরুল আলম এবং বন কর্মকর্তা আশরাফুল আলম এর নেতৃত্বে বনকর্মীরা ঐ গাড়ী থেকে টিপি চেক এর নামে ১০২০ টাকা ঘুষ নেন।গাড়ীর ড্রাইভার ফরিদ এ বিষয়টি সংবাদ কর্মীকে নিশ্চিত করেছেন।বগুড়ার গাছ ব্যাবসায়ী আব্দুল হাই ট্রাকভর্তি ঐ গাছের মালিক বলেও তিনি জানান।এছারাও কোন কোন গাড়ী থেকে ২২০০ টাকা হারেও এসব কর্মকর্তারা ঘুষ নিয়ে থাকে বলেও জানাগেছে।বন বিভাগের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি কোন নতুন বিষয় না।গত ওয়ান ইলেভেনের সময় বন কর্মকর্তা গনির দুর্নীতির তথ্যে দেশবাসীর মধ্যে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠেছিল।সেই সময়ে আব্দুল গনিকে বনের রাজা হিসেবে উপাধি দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে ভক্ত বিষয় নিয়ে বন বিভাগের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা,, সরকারি সর্বোচ্চ কর্মকর্তা,,এবং ডিএফকে উক্ত বিষয়টি ঘটনাস্থলে থেকেই মোবাইল ফোনে জানালে, তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান,,, যাইহোক কর্মকর্তারা কি তদন্ত করে দেখবেন তা পরবর্তীতে তুলে ধরা হবে জনতার স্বার্থে,