দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে নাগরিকদের কাছ থেকে স্মার্ট কার্ড বিতরণের বক্স ও কমপার্টমেন্ট নম্বর দেওয়ার কথা বলে টাকা নেয় একদল যুবক। এ সময় রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু চান আলী নামে যুবককে ইউনিয়নের দফাদার দিয়ে মারধর করে।
এ সময় ছবি তোলায় একাত্তর টেলিভিশনের কালীগঞ্জ প্রতিনিধি ও দৈনিক যশোর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মিশন আলীর ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় ও জামার কলার ধরে লাঞ্চিত করে একটি কক্ষে আটক করে রাখে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিককে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় সাংবাদিক মিশন আলী বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা: মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, সাংবাদিক মিশন আলী একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি কালীগঞ্জ থানার এসআই আবুল কাশেমকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরআগে শনিবার সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জামির হোসেনের সভাপতিত্বে সাংবাদিক মিশন আলীকে শারিরীক লাঞ্চিতের প্রতিবাদে জরুরি সভা আহবান করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা আব্দুল জলিল, টিপু সুলতান, রফিকুল ইসলাম মন্টু, ওলিয়ার রহমান, হাবিব ওসমান, তারেক মাহমুদ। সভায় চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপুর বিরুদ্ধে সকল অনিয়মনের সংবাদ প্রকাশ ও মামলা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সাংবদিক মিশন আলী জানায়, উপজেলার ৭ নং রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপুর লোকজন স্মার্ট কার্ড বিতরণের বক্স ও কমপার্টমেন্ট নম্বর দেওয়ার কথা বলে নাগরিকদের কাছ থেকে ১০ টাকা করে নেয় এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। এসময় চান আলী নামে এক যুবককে মারধর করে চেয়ারম্যানের নির্দেশে দফাদার দিয়ে ওই যুবককে মারধর করে। এ সময় আমি ছবি তুলি। তখন চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু ক্ষিপ্ত আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও চেয়ারম্যানে নিজে আমাকে একটি কক্ষে আটক করে। এ সময় চেয়ারম্যান নিজে আমার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে বিষয়টি আমি অন্য সাংবাদিকদের জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাকে উদ্ধার করে।
তিনি আরো জানান, মারধরের ছবি তোলায় চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু বলে ছবি তুললি ক্যা? ওরে ঘরের মধ্যে আটকা। এরপর আমাকে রায়গ্রাম বাণীকান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটকে রাখে।