এস,এম, নাদিরুজ্জামান আজমল।
জেলা প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ।
কাস্তুল এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন, নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও একটি প্রভাবশালী মহল গঠনতন্ত্র উপেক্ষা এবং আইন লঙ্ঘন করে পছন্দের লোকজন দ্বারা একটি পকেট কমিটি গঠন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীর অভিভাবক, সদস্য প্রার্থী সহ স্থানীয়রা।
এ নিয়ে ওই এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে পকেট কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া বিদ্যালয়ের অংশগ্রহণকারী সদস্য ও অভিভাবকরা তা অবিলম্বে বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, কাস্তুল এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্টিত নির্বাচনে অনেক মৃত ও প্রবাসী ভোটারদের ভোট কাস্ট করা হয়েছে। যা ইতিমধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় তুলেছে কৃষক, ব্যাবসায়ী সহ সুশীল সমাজের ব্যক্তি বর্গের মধ্যে। সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনের নির্দেশনা থাকলেও উক্ত নির্দেশনা গোপন রেখে নির্বাচনের বিধান ভঙ্গ করে তফসিল মনোনয়ন এবং নির্বাচনের সার্বিক বিধান অমান্য করে প্রধান শিক্ষক মো: আনোয়ার হোসেন এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলকে নিয়ে গোপনে মৃত ও প্রবাসী ভোটারদের ভোট কাস্ট করে একটি পকেট কমিটি গঠন করেন বলে অভিযোগ করেন নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী সহ অবিভাবক ও এলাকাবাসী। এছাড়াও নিয়মতান্ত্রিকভাবে নারী অবিভাবক ভোটার সদস্যকে না নিয়ে, তার মনগড়াভাবে বাহিরের লোককে প্রবাসীদের বদলে ভোটার তালিকায় নাম যুক্ত করা নিয়ে আরও বিতর্কিত হয়েছেন প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার।
অভিভাবক সদস্য প্রার্থী মোঃ আবুল কাসেম তুহিন সহ একাধিক প্রার্থী সংবাদমাধ্যম-কে জানান, বিদ্যালয়ের নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠনের খসড়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় বৈধ অভিভাবক সদস্যদের নাম ষড়যন্ত্র মূলকভাবে বাদ দিয়ে স্বজনপ্রীতি ভাবে অবৈধ অভিভাবকদের নাম লিপিবদ্ধ করে খসড়া ও চূড়ান্ত ভোটার লিস্ট তৈরি করে নির্বাচনের নামে একটি পকেট কমিটি ঘঠন করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী একাধিক প্রার্থী সহ স্থানীয় সুশীল সমাজের ব্যক্তি বর্গ উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের অনিয়মের অভিযোগ সত্যতা যাচাই পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।