(কুড়িগ্রাম) জেলা প্রতিনিধি
সতীনের সংসার মানেই পরিবারে ঝগড়া লেগে থাকা। একজন অপরজনকে যেন সহ্যই করতে পারে না। এ ঝগড়া এখন শুধু পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে গেছে নির্বাচনী মাঠেও।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এমনই দেখে গেছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৭,৮,ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদের নির্বাচনে। একই পদের জন্য লড়ছেন দুই সতীন। তাঁরা হলেন চন্দ্রখানা বুদারবান্নি গ্রামের ফজলু আলী কসাইয়ের প্রথম স্ত্রী আঙুর বেগম এবং তৃতীয় স্ত্রী জাহানারা বেগম। অবশ্য ফজলু কসাইয়ের নাজমা নামের আরো একজন স্ত্রী রয়েছেন। প্রথম স্ত্রী আঙুরের পক্ষে স্বামী ও দ্বিতীয় স্ত্রী প্রচারে নামলেও তৃতীয় স্ত্রী জাহানারা একই প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
ফজলু কসাই বলেন, আমার ও পাড়া প্রতিবেশীদের সমর্থন নিয়ে আঙুর ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাই আমি এবং এলাকাবাসী তার জন্য ভোট চাচ্ছি।
জাহানারাকে বারবার নিষেধ করা সত্বেও আগুরের বিরুদ্ধ লড়ছেন।
জাহানারা বলেন, ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে স্বামীর সমর্থন নিয়েই আমি প্রার্থী হয়েছিলাম। সেবার ভোটের লড়াইয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলাম। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার সতীন স্বামীকে ফুসলিয়ে প্রার্থী হয়েছেন।
গত শুক্রবার দুই সতীনই প্রতীক পেয়েছেন। বড় সতীন আঙুর পেয়েছেন কলম এবং জাহানারা পেয়েছেন তালগাছ।
স্থানীয়রা বলেন, আগে থেকেই তিন স্ত্রীকে নিয়ে ফজলু কসাইয়ের দিনকাল ভালো যাচ্ছিল না। ঝগড়া বিবাদে কাটত দিন। জাহানারাকে আলাদা বাড়িতে রেখে তিনি প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা বাড়িতে বসবাস করছেন।
আগামী ২৮ নভেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। দুই সতীন ছাড়াও ঐ সকল ওয়ার্ডে সংরক্ষিত গোপনীয় সদস্য পদে আরেক আঙুর বেগম,নুরি বেগম এবং আনজুমা বেগম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।