মোঃ আনোয়ার হোসেন
ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ৩ নং কুশনা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের জালালপুর গ্রাম। জালালপুর সেন পাড়ায় অবস্হিত দিন মজুর আট পরিবারের শেষ সম্বল পানের বরজ আবার আগুনে পুড়ে ছাই হলো। সরোজমিনে গিয়ে জানতে পারি ১। শ্রী নন্দ কিশোর পিতা মৃত নিতাই বরজের পরিমান ২.৫ বিঘা ২। শ্রী মিহির পিতা নন্দ কিশোর ১ বিঘা ৩। শ্রী শতদল সেন পিতা শ্রী কানাই সেন ১.৫ বিঘা ৪। শ্রী বলরাম দাস পিতা শ্রী কালিপদ দাস১.৫ বিঘা ৫। শ্রী স্বপন দাস পিতা শ্রী কালীপদ দাস ২.৫ বিঘা ৬। শ্রী বিন্দাবন বিশ্বাস পিতা শ্রী দুলাল বিশ্বাস ১ বিঘা ৭। শ্রী মানবেন্দ্র পিতা শ্রী সুবোল ১ বিঘা ৮। মোঃ দিনাজ মন্ডল পিতা মোঃ ভরস মন্ডল ১ বিঘা সর্বমোট ১২ বিঘা। ক্ষতিগ্রস্হ বরজের মালিক গন বলেন আজ ২১/৫/২১ রোজ শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৯ টার সময় আমরা জানতে পারি বরজে আগুন লেগেছে। আগুন লাগার সাথে সাথে কোটচাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের অফিসে ফোন দিলে তারা আসেন, আসতে একটু বিলম্বিত হয়।কোটচাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস আসার পুর্বে সব আগুনে পুড়ে ছাই। আগুন দাউ দাউ করে বরজের বাঁশ পাটখড়ি খড়কুটো পুড়ে চারপাশে শুধু আগুনের ধোঁয়া। সেই মূহুর্তে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য গন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৪৫ মিনিটের অক্লান্ত চেষ্টায় বরজের আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। এই দিকে কোটচাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্তব্যরত ইনচার্জ শ্রী প্রদীপ বিশ্বাসের নিকট আগুনের সুত্রপাত সময় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন অফিসে গেলে জানাতে পারবো কয়টার সময় জানতে পেরেছি। কয়টা ইউনিট কাজ করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন দুইটি ইউনিট কাজ করেছি। আগুন সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রনে এসেছে কি তিনি বলেন আগুন আমাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে সম্পুর্ণ আগুন মুক্ত হলে কাজ সমাপ্ত করেছি। আগুনের সুত্রপাত কিভাবে হতে পারে সেটা বলতে পারেননি।এই ওয়ার্ডের ইউ পি সদস্য মোঃ বি এম নাসির উদ্দিনের নিকট জানতে পারি পানের বরজ মালিক গন খুবই গরীব মানুষ। শেষ সম্বল এই পানের বরজ মালিক গন দিন আনে দিন খায় তাদের মাথা তুলে দাঁড়াবার আর জায়গা থাকলো না। এদের পরিবার গুলো এখন না খেয়ে থাকতে হবে কোথায় যাবে এরা। প্রায়ই বরজে আগুন লেগেই আছে কে বা কাহারা কি ভাবে আগুন লাগছে এটা বোঝা যাচ্ছে না। এদিকে বরজ মালিক দের কান্নাকাটির আওয়াজ আজ আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠেছে একটাই কথা আমরা ছেলে মেয়ে নিয়ে কি খাব কি করবো কোথায় যাব।আমাদের শেষ সম্বল তো আগুনের কাছে হারিয়ে গেল। আসলে বরজে কেন এই আগুন লাগছে প্রায়ই আর সর্বনাশ হয়ে পথে বসছে গরীব বর্গা পান চাষীরা। এর সুত্রপাত কোথায় এটাই এখন সকলের কাছে প্রশ্ন। বরজে যাহারা কাজ করছে তাদের মধ্যে বিড়ি সিগারেট খাওয়া মানুষ গুলোর অব্যবস্হাপনায় যত্রতত্র আগুন ব্যবহার করার বলি হচ্ছে নাতো গরীব পান চাষীরা। আসল সমস্যা সমাধানের ব্যবস্হা স্থানীয় প্রশাসনের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার গরীব পান চাষীরা। এই অবস্থার সুত্রপাত কোথায় জানতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্হ হবে গরীব বর্গা পান চাষীরা আর বিলুপ্ত হবে পান নামক একটি অর্থকারি ফসল। ক্ষতিগ্রস্হ আট পরিবারের এখন একটাই চাওয়া পাওয়া দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট ও এলাকার জেলা প্রশাসন উপজেলা প্রশাসন মহোদয়ের কাছে। যদি ক্ষতি পূরণ কিছুটা আসে তাহলেও কিছুটা হলেও বাঁচতে পাররো পরিবারের সবাই কে নিয়ে।