জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে জমির দখলদারিত্ব নিয়ে দুইটি পক্ষের দ্বন্দ ও গন্ডগোলকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ ক্ষেতলাল থানায় বেশ কয়েকটি অভিযোগে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কিন্তু গোন্ডগলে জড়িত ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা ইউপির ধাতালীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আব্দুল খালেকের পুত্র খায়রুল ইসলাম ( ৪৫) এর সাথে একই গ্রামের বজলুর রহমান সরদার, শারফুল ইসলাম, মেহেদী ও হেলাল উদ্দিন ব্যক্তিদের সাথে ধানী জমির দখলদারিত্ব ও প্রকৃত মালিকা নিয়ে দীর্ঘদিন হতে বিরোধ চলছিল। দলিল মূলে জমির মালিক বজলুর রশিদ গং। সেই হিসেবে তারাই গত ইরি ধানের ফসল লাগিয়েছিলেন এবং ধান ঘরে তুলেছেন।
গত ২২ জুলাই সকাল সাড়ে ৬ টায় সেই জমিতে মামলার বিবাদীপক্ষের জমির দখল নিতে লাগানো ৯০০ টি ইউক্যালিপটাস গাছের চারা উপড়াতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয় এবং চড় থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারে এতে উভয় পক্ষের ২-৩ জন কিছুটা আঘাত প্রাপ্ত হয়ে তারা ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে যায়। এঘটনায় পরদিন ক্ষেতলাল থানায় ধাতালিপুর গ্রামের খায়রুল ইসলাম বুদ্দু বাদী হয়ে উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম কে প্রধান হুকিমের আসামি করে ৮ জনের নামে হুমকি, জখমসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। যা সত্য নয় বলে সাংবাদিকের বলেন অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফা মুঠোফোনে জানান।
অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম জানান, আমাকে মিথ্যা অভিযোগে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমি এই সম্পত্তির ওয়ারিশ নই এবং আমি তাদের কোন আত্মীয় ও নই এবং ভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। অহেতুক হয়রানি মূলকভাবে আমাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। জানা গেছে, গন্ডগোলকৃত জমিগুলো বর্তমানে বিবাদীগণের দখলে রয়েছে এবং গত ইরি ধানের ফসল লাগিয়ে ফসল কেটে যথারীতি ঘরেও তোলে। এরপরবর্তী ফসল আমন ধান লাগাতে গেলে বাদীপক্ষ জমিতে এসে চাষের সময় বাদির মা ও স্ত্রী বাধা প্রদান করে এবং দুই পক্ষের মহিলা দলের মধ্যে কথাকাটাকাটি এবং ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের ৪ জন হাসপাতাল গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
আরো জানা গেছে, বাদী পক্ষ রেকর্ড মূলে জাল দলিল তৈরী করে দীর্ঘদিন অন্যের জমি ভোগ দখল করে আসছিল। বিবাদী পক্ষ কয়েক মাস পূর্বে জয়পুরহাট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ও ৭ ধারায় দু’টি মামলা করেন, যা চলমান আছে। এর মধ্যেই তারা জমির দখলদারিত্ব নিয়ে গন্ডগোল করার চেষ্টা করে।
বড়তারা ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন ভোরের কাগজকে বলেন, জমির দখলদারিত্ব নিয়ে গন্ডগোল এড়াতে আমি একটি সমঝোতা করার চেষ্টা করেছিলাম, পরিষদের তত্বাবধানে জমি পত্তনী রেখে টাকা জমা রাখা হবে, আদালতের রায়ে যারা জমি পাবেন তাদের হাতে টাকা হস্তান্তর করা হবে। কিন্তু একটি পক্ষ মানলেও অপর পক্ষ (বর্তমান মামলার বাদী পক্ষ) মেনে নেয়নি।