গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের পুইয়াগাড়ী গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৈরাগীরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে ১৫জন নামীয় ও আরো অজ্ঞাত ২৫/৩০জনকে আসামী করে শুক্রবার রাতে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের পর রাতেই অভিযান চালিয়ে হামলায় জড়িত ৬জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রায়হান প্রধান (৪৬), আমিনা বেগম (৪৯), আশুলিয়া বেগম (৪২), নাজমুল হোসেন (৪৫), হাসেম আলী (৩৮) ও ছাদেকা বেগম (৪০)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন বৈরাগীরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জিয়াউর রহমান সঙ্গীয়ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে বারটার দিকে উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের পুইয়াগাড়ী গ্রামে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী জাকারিয়া হোসেন জাকিরকে তার বাড়ীতে গ্রেপ্তার করতে যান। গ্রেপ্তারকালে আসামী জাকারিয়ার নির্দেশে তার পরিবারের লোকজন লাঠি-সোটা হাতে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা করে এবং পুলিশের হাতে থাকা মামলার ওয়ারেন্ট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় তাদের মারপিটে পুলিশের ৫জন সদস্য আহত হন। এ সুযোগে আসামী জাকারিয়া পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিলন চ্যাটার্জি সঙ্গীয়ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ ঘটনায় মামলার দায়েরর পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬জনকে গ্রেপ্তার করে। জাকারিয়া পুইয়াগাড়ী গ্রামের মৃত জরিপ প্রধানের ছেলে।
বৈরাগীরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিলন চ্যাটার্জি জানান, আসামী জাকারিয়ার বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ, জয়পুরহাট ও পাঁচবিবি থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। ওয়ারেন্টমুলে আসামী জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। এতে ৫জন পুলিশ জখম হন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ ৬জনকে গ্রেপ্তার করে।