বিধান কুমার বিশ্বাস রাজবাড়ী।
রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার ১৩ নং চন্দনী ইউনিয়নে আজ ২৬ শে ডিসেম্বর শনিবার পরিষদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের শতবর্ষ শতাব্দি উদযাপিত হয়েছে।
চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে চন্দনী ইউনিয়নের শতবর্ষ শতাব্দি অনুষ্ঠানে ১৩ নং চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সিরাজুল আলম চৌধুরী সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডঃ মোঃ ফকির আব্দুর রশিদ চিশতী, কবি লেখক, গবেষক ও প্রাক্তন অধ্যক্ষ, রাজবাড়ী সরকারি কলেজ, রাজবাড়ী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ রমজান আলী শেখ, কবি, নাট্যকার ও সহকারি প্রধান শিক্ষক, সূর্যনগর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, সালাম তাসির, কবি, প্রাবন্ধিক ও নাট্যকার ও সরকারি অধ্যাপক অব রাজবাড়ী সরকারি কলেজ, আশিক মাহমুদ, সাংবাদিক ও শিক্ষানুরাগী রাজবাড়ী, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ আলাউদ্দিন শেখ, সদস্য, জেলা পরিষদ রাজবাড়ী, চন্দনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি, মিজানুর রহমান শাহিনুর, সাধারণ সম্পাদক, আব্দুর রব, আব্দুল মালেক সিকদার, সাবেক চেয়ারম্যান, ১৩ নং চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদ, মোঃ আবুল হোসেন খান, সভাপতি, চন্দনী ইউনিয়ন বিএনপি, ইউপি সদস্য বৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি প্রমুখ।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ডঃ মোঃ আব্দুর রশিদ চিশতী বলেন, এই চন্দন ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়নের একটি রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম শত বার্ষিকীর পাশাপাশি চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদেরও শতবর্ষ শতাব্দি উদযাপিত হচ্ছে। এই চন্দন ইউনিয়ন পরিষদে নানা ইতিহাস জড়িত আছে, রাজবাড়ী জেলার ৪২ টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে উন্নয়নের যাত্রায় এটি অন্যতম। এ ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বহমান ঐতিহাসিক হড়াই নদী। চাঁদ সদাগরের জীবন কাহিনী তে এই নদীর আলামত পাওয়া যায়। চাঁদ সদাগরের দম্ভের জন্য চাঁদ সদাগরের সপ্তডিঙ্গা এই নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এই নদী নিয়ে একটা কথা আছে সব নদী যেমন তেমন হড়াই নদী সাবধান। তিনি আরো বলেন আমরা সবাই মিলে সাম্প্রদায়িকতা ভুলে গিয়ে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যদি কাজ করে যাই তাহলে বাংলাদেশের মধ্যে চন্দন ইউনিয়ন পরিষদ হবে উন্নয়নের একটি রোল মডেল।
চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদ এর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের শতবর্ষ শতাব্দি অনুষ্ঠানের পর সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়।