আহসান হাবীব লক্ষীপুর জেলা প্রতিনিধি
গঠনাটি ঘটেছে রায়পুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে আফিয়া হারুন নূরানী মাদ্রাসায়। এই মাদ্রাসায় বিগত দিনেও ছাত্র নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। নির্যাতনকারী শিক্ষক আটক হয়েছে। হয়তো শেষ পর্যন্ত আইনের ফাঁক দিয়ে অথবা প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে সূরাহা হয়ে যাবে। অথচ, মাদ্রসায় ছাত্র নির্যাতন দিন দিন বেড়েই চলছে। স্থায়ী কোন প্রতিকার হচ্ছেনা।
শিশুদের উৎসাহ দেয়ার জন্য আজ জাতীয় শিশু দিবসে শিশুরা ষ্টেজে, মাননীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্য সরকারী-বেসরকারী কর্তারা পেন্ডেলে দর্শকের কাতারে বসেছে। অথচ, ফেরেশতাতুল্য নিস্পাপ শিশুদের সামান্য ভুলের কারনে কিছু দানবীয় মাদ্রাসা শিক্ষক মেরে লাশ করে ফেলে!
সারাদেশে রাস্তার মোড়ে মোড়ে হাজার হাজার রেজিষ্ট্রেশনহীন মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে। অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলোতে হরহামেশাই নির্যাতন-বলাৎকার হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মোসলমানগন ধর্মীয় শিক্ষার জন্য কোমলমতি শিশুদের মাদ্রাসায় দেয়। অথচ শিক্ষক নামের কিছু দানবের হাতে এদের মৃত্যূ পর্যন্ত ঘটে। জানিনা, এসব শিশুদের পিতা-মাতাগন কিভাবে শোক সইবে।
জানামতে, শিক্ষার জন্য এহেন নির্যাতনের নির্দেশ কোন ধর্মে নেই।
ধর্মীয় কুসংস্কার, অল্পবিদ্যা, প্রশিক্ষনের অভাবই এর জন্য দায়ী।
সরকারীভাবে এক্ষুনি এদের লাগাম টেনে না ধরলে, আরো কতো কোমল-প্রান হারাতে হবে, আল্লাহই ভালো জানে।