নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার মদন উপজেলার পৌরসভার জোবাইদা রহমান মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ১০০০ টাকা উন্নয়ন ফি সহ পরিপত্রের দোহাই দিয়ে প্রতি ছাত্রীর কাছ থেকে ৩২০০ শত টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠছে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি২০২৩ ইং তারিখ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
পূবালী ব্যাংক মদন শাখায় কলেজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রশিদ স্লিপের মাধ্যমে,মানবিক বিভাগে ছাত্রী রয়েছে ২৪৫ জন, বিজ্ঞান বিভাগে ৭ জন, ব্যবসা বিভাগ ৬ জন ছাত্রী রয়েছে। দ্বাদশ শ্রেণীর প্রতি ছাত্রীর কাছ থেকে উন্নয়ন ফি ১০০০ টাকা পূনঃ ভর্তি ফি, ১০০০ টাকা, সেসন ফি ১০০০ হাজার টাকা, ক্রীড়া সংস্কৃতি বিষয়ে ১০০ শত টাকা, লাইব্রেরী ও ল্যাবরেটরী বিষয়ে ১০০ শত টাকা, মোট ৩২০০ শত করে টাকা নিচ্ছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি ২০২২-২৩ একাদশ শ্রেণীর ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলা মফসল এলাকার জন্য ২৫ শত করে টাকা নেওয়ার বিধান রয়েছে।
তবে দ্বাদশ শ্রেণীর বেলায় একাদশ শ্রেণীর ধার্যের চেয়েও বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে ছাত্রী ও অভিভাবকদের অভিযোগ ।
এতে করে সাধারণ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানের অভিভাবকদের উন্নয়ন ফি ১০০০ টাকাসহ মোট ৩ হাজার ২শত করে টাকা জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিটি ছাত্রীর অভিভাবকদের।
নাম বলতে অনিচ্ছু, উক্ত কলেজে একাধিক ছাত্রী ও অভিভাবক এ প্রতিনিধিকে বলেন, বর্তমান সময় খেয়ে থাকতে যেখানে কষ্ট হচ্ছে, সেখানে কলেজে এতগুলো টাকা ভর্তিতে দিতে হচ্ছে; তাও ব্যাংকের মাধ্যমে নেয়ায় কম দেয়ার কোনো সুযোগও থাকছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জানতে জোবাইদা রহমান মহিলা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাজী করনী তিনি জানান, পূর্বের গভর্নিং বডির পরিপত্র রেজুলেশন মোতাবেক দ্বাদশ শ্রেণীর প্রতিটি ছাত্রীর কাছ থেকে ৩ হাজার ২ শত করে টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ,মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গভর্নিং বডির সভাপতি এ প্রতিনিধিকে জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছে, দুই বছর পূর্বে নীতিমালা রেজুলেশন অনুসরণ করে, তারা দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীদের কাছ থেকে, ১০০০ টাকা, উন্নয়নসহ ফি সহ ,মোট ৩ হাজার ২ শত টাকা করে, কলেজের রশিদ স্লিপ এর মাধ্যমে আদায় পূবালী ব্যাংকের কলেজ একাউন্টে টাকা জমা নিচ্ছেন।