জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতা-
জয়পুরহাটের গাজিউল ইসলামের নামের ব্যক্তির পরিচয় দেবার মতো কোন শিল্প প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির নেই কিন্তু তার রয়েছে বিপুল পরিমান অর্থ। মাত্র ৫ বছরের ব্যবধানে গড়েছেন অর্থের পাহাড়। অবৈধ পন্থা ও অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে এই অল্প সময় প্রায় ৫-৭ কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। হঠাৎ করেই কোটিপতি ব্যক্তিই হলো গাজিউল ইসলাম। তার সম্পদের অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায়, গাজিউল ইসলাম জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ঝামুটপুর গ্রামের বাসিন্দা। আফতাব উদ্দীনের ছেলে গাজিউল ইসলাম ঢাকা মিরপুরে নামসর্বস্ব একটি অফিস রয়েছে তার। সেখানে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করেন তিনি। গাজিউল ইসলাম অবৈধভাবে বিভিন্ন জায়গায় জমি ক্রয় করেন, যার মূল্য ৫ থেকে ৭ কোটি টাকা। আরেক স্থানে সাত কাঠার জমি ক্রয় করেন, যার মূল্য ৭০ লাখ টাকা। বগুড়া শহরে অবস্থিত ৫ শতক জমি ক্রয় করেন ৭০ লক্ষ টাকা এবং কোটি টাকার বিনিময়ে বিল্ডিং ক্রয় করেন। ৭০ লাখ টাকায় বিলাসবহুল গাড়ি ক্রয় করেছেন। এভাবে গাজিউল বর্তমানে কোটি কোটি টাকা সম্পদের মালিক। অজানা তার বিপুল অর্থ ও সম্পদের উৎস। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, গ্রামের সহজ-সরল বেকার যুবকদের চাকরীর দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ। ঝামুটপুর গ্রামবাসীর প্রশ্ন একটাই তার কোনো শিক্ষাগত সাটির্ফিকেট,জমাজমি কিছুই ছিল না, ছিল শুধু তার দিনমজুর ও চোর পরিচিতি। দেনার দায়ে ঢাকা পথে পারি জমায় গাজিউল ইসলাম। বর্তমান অলৌকিক ক্ষমাতার দাপটে গ্রামের সাধারন মানুষ অতিষ্ট! সাম্প্রতি সময়ে ঢাকায় একটি অফিস খুলে বসেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় ভিআইপি এমপি-মন্ত্রীদের সাথে ছবি তুলে ক্ষমতার দাফটে তাদের নাম ভাঙ্গীয়ে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে।
শিক্ষার প্রাণ কেন্দ্রেও গাজিউল ইসলামের কোটিপতির ছোবল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অত্র কলেজের শিক্ষখ৷ কর্মচারী কালাই ডিগ্রী কলেজকে সরকারীকরণের নামেও কোটি টাকার বাণিজ্য করেছেন৷ বানিহারা গ্রামের বেলাল হোসেন”’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, জয়পুরহাট জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ২৩/১৭) এবং গাজিউল কারাভোগের পর জামিনেমুক্ত হয়। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকে নানাভাবে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকায় ২টি বাড়িসহ পঞ্চগড়ে নামে-বেনামে অনেক সম্পদ রয়েছে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগোযোগ করলে ধোকাবাজ গাজিউল ইসলামকে পাওয়া যায়নি।