মোঃ আনোয়ার হোসেন
, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের নারিকেল বাড়িয়ায় দুই চেয়ারম্যানের সমর্থকদের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে বাজারের ১৫টি দোকান।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্ট গানের ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ২২ জনকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, ঘোড়শাল ইউনিয়নের নারিকেলবাড়িয়া বাজারে একটি দোকানে কেরাম খেলছিল পার্শ্ববর্তী দোগাছী ইউনিয়নের বেড়পাড়া গ্রামের বিষুর ছেলে। খেলা শেষে নিজের পকেট থেকে টাকা বের করে গুনতে থাকে সে। এ সময় নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের বিপ্লব বলে- তুই এখানে কেনো টাকা গুনছিস? এ নিয়ে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে দোগাছী ইউপি চেয়ারম্যান ইছাহাক জোয়ারদারের ছেলে তারিকসহ অন্তত ১০/১২ এসে ঘোড়শাল ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিটনের সমর্থক বিপ্লবকে মারধর করে। ঘটনা জানতে পেরে ঘোড়শাল ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থকরা সেখানে হামলা চালায়।
এ নিয়ে উভয় চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। সে সময় স্থানীয় নারিকেল বাড়িয়া বাজারের অন্তত ১৫ টি দোকান ভাংচুর করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় নারিকেল বাড়িয়া ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক অমিত কুমার ও দুই কনস্টেবল আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বিপ্লব ও শাসুদ্দিন মন্ডলকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪ রাউন্ড শর্ট গানের ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। বর্তমান ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে উভয় গ্রুপের অন্তত ২২ জনকে।