মোঃ আনোয়ার হোসেন
ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত করোনাকালীন মহামারীর ক্ষতিগ্রস্ত খামারী মালিকদের মধ্যে করোনা প্রণোদনার টাকা বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে হরিনাকুণ্ডু উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মসিউর রহমান ও তার ইউনিয়নে কর্মরত এলএসপি দের বিরুদ্ধে। এই মর্মে এলাকার ভুক্ত ভোগী মহল ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের নিকট প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেছে। অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেছেন যে রঘুনাথ পুর গ্রামের পশু ডাক্তার এমদাদ হোসেন হরিনাকুণ্ডু উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে চাকুরীর সুবাদে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার সহযোগিতায় সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বেশ কয়েকজন অ-খামারী ও বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মচারীর নাম উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে লিপিবন্ধ করেছে। এমদাদ তার নিজ গোষ্ঠীর লোক এবং যাদের এই কোরনা প্রণোদনার তালিকায় নাম পাঠিয়েছে তারা কখনো গরু পালনের সাথে জড়িত না। এই নিয়ে ঐ গ্রামে বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে। হরিনাকুন্ডূ প্রাণী সম্পদ অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই এমদাদ হরিনাকুন্ডূ উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের একজন কর্মকর্তা।
এই প্রসঙ্গে হরিনাকুন্ডূ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মসিউর রহমানের ভুমিকা রহস্য জনক। তার নিকট উপজেলার তালিকা চাইলে সে প্রথমে বলে যে অফিসে আসেন কে কে পেয়েছে তার তালিকা দেওয়া হবে। তার দেওয়া সময়ে কয়েকজন সাংবাদিক অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায় না। তবে অফিসের একজন জানায় স্যার ঝিনাইদহ অফিসে গেছে অন্য একজন বলে যে স্যার যশোর গেছে। তখন অফিস থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে ফোন করলে সে বলে আমি ছুটিতে আছি। তবে এই তালিকা দেওয়া যাবে বলে বিভিন্ন বাহানা দেখান।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সুব্রত ব্যনাজির সাথে কথা বললে সে বলে যে আমরা খুব অল্প সময় পেয়েছি যার কারনে ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। তবে তার নিকট জেলার কোন তালিকা নেই বলে জানিয়ে বলেন যে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার নিকট তালিকা পাওয়া যাবে।