মোঃ মিলন আকন রনি (বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি)
বাগেরহাট শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা অনুদান দিবে সরকার।এমন গুজবে কান দিয়ে নিবন্ধন করার জন্য বাগেরহাটের সকল উপজেলার কম্পিউটারের দোকানে প্রয়োজনীয় কাগজ ভর্তির ফাইল নিয়ে উপস্থিত হয় কম্পিউটার দোকানের সামনে। রবিবার সকাল সকাল ১০ টা ৫০ মিনিটে এমন চিত্র দেখা গেছে বাগেরহাট সদরে। সরেজমিনে দেখা যায় শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণে মহাব্যস্ত। আবার কেউ সিরিয়ালের অপেক্ষায়। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন সরকার নাকি ১০ হাজার টাকা অনুদান দেবে। সেই অনুদানের জন্য সবাই নিবন্ধন করছে দেখে আমরাও আসছি। কারা কোথা থেকে দিবে কিসের অনুদান এ বিষয়ে কোনো কিছু জানে না তারা? এ বিষয়ে সঠিকভাবে বলতে পারেননি এই দোকানদার। দোকানদার আরো বলেন : সকাল থেকেই নিবন্ধন করে দিচ্ছি। বলে জানিয়েছেন এই দোকানদার। নিবন্ধনের ফরম পূরণে অভিভাবকের আয়ের তথ্য নিচ্ছে , তাই মনে হচ্ছে অসহায় শিক্ষার্থীদের কিছু অনুদান দেয়া হবে। আমরা ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নিবন্ধন করে দিচ্ছি কিন্তু এত শিক্ষার্থী আগে কখনো আসেনি। আজ হঠাৎ করেই এত ভিড় হচ্ছে। কতজন কত করে টাকা পাবে তারও কোনো ধারণা নেই দোকানদারের? এমন খবর কোথা থেকে পেল শিক্ষার্থীরা ? তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা বলে:বন্ধুদের কাছে এবং ফেসবুকে শুনেছি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,করোনা মহামারীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,শিক্ষক ,কর্মচারীও শিক্ষার্থীদেরঅনুদান প্রদানের বিজ্ঞপ্তিতেটাকার উল্লেখ নেই।কিন্তু বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেগুজব ছড়ানো হয় ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেবে সরকার। এই গুজবের রেশ ধরে বাগেরহাটের বিভিন্ন কম্পিউটার দোকানে এমনকি রাতেওচলছে এ নিবন্ধন ফরম পূরণের প্রক্রিয়ার কাজ। ১৮ জানুয়ারি এক বিজ্ঞপ্তিতে অনুদানের জন্য মাউশির ওয়েবসাইটে আবেদন ফরমে আবেদন করতে বলা হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেরামত ও সংস্কার,আসবাবপত্র ক্রয় সহ অন্যান্য কাজের উন্নয়নের জন্য,শিক্ষক ও কর্মচারীরা তাদের দুরারোগ্য ব্যাধিরজন্য সহায়তা এবংশিক্ষার্থীদের দুরারোগ্য ব্যাধি ও দৈব দুর্ঘটনার এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের জন্যএই অনুদান দেয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের বিশেষ ক্ষেত্রে,প্রতিবন্ধী ,অসহায়, গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই অনুদান দেয়া হবে। এই অনুদানের আবেদনের শেষ সময় সীমা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মাউশি সেই আবেদনেরসে সময়সীমা বাড়িয়েছে ৭ মার্চ পর্যন্ত। এদিকে মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে অনুদানের টাকার পরিমাণ উল্লেখ না থাকলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুজব ছড়িয়েছে যে অনুদানের টাকার পরিমাণ হবে ১০ হাজার টাকা। এই অনুদানের টাকা পাওয়ার জন্য করোনা মহামারীতে বন্ধ থাকা বাগেরহাট প্রায় সকল স্কুল প্রতিষ্ঠান প্রধানের জন্য শনি ও রবিবার ভিড় জমিয়েছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। সচেতন নাগরিকরা বলছেন,কারা এই আবেদনের জন্য যোগ্য তা স্পষ্ট করা দরকার? না, হলে গণহারে আবেদন করা শিক্ষার্থীরা ও প্রকৃত অনুদান পাওয়ার যোগ্য শিক্ষার্থীরা হতাশা, বিভ্রান্ত হবে ।কম্পিউটার দোকান গুলোতে হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে আবেদন করার জন্য ভিড় জমাল ও প্রশাসনের নেই কোনো তেমন তৎপরতা।