প্রশাসনকে ব্যবহার করে গনবিরোধী ও বিভক্তি সৃষ্টিকারী তৎপরতা বন্ধের দাবী
শাহানাজ পারভীনঃ চট্টগ্রামঃ-নদী সিকস্তি সন্দ্বীপবাসির ভূমির স্বীকৃতি অধিকার ফিরে পাওয়ার ন্যায়সংগত অধিকারের দাবীর সাথে সংহতি জানিয়ে রূপনগর সমাজ কল্যাণ সমিতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জনাব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি ডাঃ দিবাকর চন্দ্র দাস আজ ২২শে এপ্রিল ২০২১, বৃহস্পতিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন সন্দ্বীপ নদী সিকস্তি পুনর্বাসন সমিতির অন্যতম নেতা আহ্বায়ক মনিরুল হুদা বাবনের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট ১৯১৩-১৯১৬ সালের জরিপের ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণ করে সন্দ্বীপের ৫৯০ বর্গমাইল ভূমির চৌহদ্দি সন্দ্বীপ উপজেলার অন্তর্ভুক্ত করতে আদেশ দেন, এবং এর আগের ১৯৮৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশবলে উরিরচরকে সন্দ্বীপের ইউনিয়ন ঘোষণা করে সন্দ্বীপ উপজেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল যা সন্দ্বীপের ৬০মৌজার অংশ বিশেষ। ফলে রাষ্টীয়ভাবে ওই ভূমির অধিকার সন্দ্বীপবাসির স্বীকৃতি ও ন্যায়সংগত অধিকার। এই বিশাল ভূমি ১৯৯৭-১৯৯৮ সালে সাগরবক্ষে বিলীন হয়ে যায়, যা ২০১২-১৩ আবার জেগে উঠতে শুরু করে।
কিন্তু আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করলাম হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবহার করে সন্দ্বীপ উপজেলার উরিরচর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী বাংলাবাজার এলাকায় সীমানা পিলার স্থাপন করেছে। সন্দ্বীপবাসির আদালত কতৃক স্বীকৃতি অধিকার হরণকারী এই গণবিরোধী ও স্বেচ্ছাচারী তৎপরতার ফলে সন্দ্বীপের ১২ লক্ষ মানুষের মধ্যে ৮লক্ষ নদী ভাঙ্গন কবলিত বাস্তুহারা সন্দ্বীপবাসী সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের মদদে গনবিরোধী তৎপরতা চালাচ্ছে। স্বেচ্ছাচারী ও বেআইনিভাবে সীমানা পিলার স্থাপন এর ফলে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার মানুষের মধ্যে অস্থিরতা ও বিভক্তি সৃষ্টি করবে যা ঐ এলাকা তো বটেই দেশের কারো জন্য মঙ্গল জনক নয়।
জনাব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও ডাঃ দিবাকর চন্দ্র দাস ও অবিলম্বে বিতর্কিত সীমানা পিলার প্রত্যাহার করার দাবী জানিয়ে হাইকোর্ট কতৃক স্বীকৃতি ও ন্যায়সংগত ভূমির অধিকার সন্দ্বীপবাসিকে ফিরিয়ে দেয়ার আহবান জানান।