নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
নওগাঁর ধামইরহাট খেলনা ইউনিয়নের দেশাহার গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে, এতিমখানায় দান করে দেওয়ার নাম করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোরপূর্বক আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে (৫০ থেকে ৬০) হাজার টাকা সমপরিমাণ মাছ তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক রাজনৈতিক ক্ষমতাসীন ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
খেলনা ইউনিয়নের গুণ দেশাহারের গ্রামের দিঘীটি দীর্ঘদিন থেকে মাছ চাষ করে আসছিলেন গুণ দেশাহার মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্য আক্তার হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা এই দিঘিতে মাছ চাষ করে আসছি, এলাকার কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিদ্বয় আমাদের এই দিকে হস্তক্ষেপ করে এবং দখলে নেয় ধাপে ধাপে লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে আমাদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক দিঘির মাছ তুলে নিয়ে বিক্রি করে খেয়ে ফেলে, এ নিয়ে প্রতিপক্ষদের সঙ্গে দ্বন্দ লেগে থাকে, অবশেষে আমরা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি থেকে এই দিঘিটি গ্রামের এতিমখানায় দান করার সিদ্ধান্ত নেই, রাজনৈতিক ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরাও সহমত দেন, তবে তারা এটি মানতে নারাজ।
সমবায় সমিতির সদস্য আক্তার হোসেন বলেন, আমাদের সদস্যবৃন্দদের অনুপস্থিতির কারণে সুযোগ পেয়ে
আজ রবিবার আনুমানিক ১১ টার দিকে রাজনৈতিক ক্ষমতাসীন ব্যক্তি ক্ষমতার দাপটে সেই দিঘীটি দখল করে এবং ক্ষমতার দাপটে লাঠিয়াল মোতায়ন করে জেলে নিয়ে এসে দিঘির মাছ জোরপূর্বক (৫০ থেকে ৬০) হাজার টাকা সমপরিমাণ মাছ তুলে নিয়ে যায়।।
আমি আক্তার হোসেন এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি বলতে চাই বন্ধ করেন এই নোংরা রাজনীতি যে রাজনীতি ক্ষমতার দাপটে এতিমখানা মাদ্রাসার সন্তানদের উদ্দেশ্যে দান করার নাম করে এতিমদের হক মেরে খায়।
এবং তারা ক্ষমতার দাপটে বলেন সমবায় সমিতির কোনো সদস্য কিংবা এলাকার সাধারণ জনগণ যদি দিঘিতে হস্তক্ষেপ করতে যায় দিঘির ধারে কাছে ও যদি কেউ যায় তাদেরকে মামলায় ফাঁসিয়ে জেলের ভাত খাওয়াবেন এই বলে হুমকি-ধামকি দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে আসছেন।।
মৎস্যজীবী সমাজের সমিতির সকল সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে আমরা এতিমখানায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই এবং গ্রামের সকলেই তার সহমত পোষণ করি।
তবে সামান্য কিছু টাকার লোভে নোংরা রাজনীতির মানুষেরা এটি দখল করে এতিমদের হক মেরে দিনের পর দিন জোরপূর্বক মাছ তুলে বিক্রি করে টাকা নিয়ে যাচ্ছে তারা এতিমখানায় দিতে চান না নিজেরাই জোরজবস্তি করে মাছ চাষ করে খাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল এগুলো দেখার কেউ নেই।।