বাহাদুর চৌধুরী,
মাটিকাটা সারারিয়া দক্ষিণ জামশা শিংগাইর মানিকগঞ্জের প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী আঁখি বেগমকে মোবাইল ফোঁনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্বর্নালংকারসহ লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সুত্রে জানা যায় ৯নং বড় মানিকা উত্তর কুড়ালিয়া ৪ নং ওয়ার্ড থানাঃ বোরহানউদ্দিন জেলাঃ ভোলা মোঃ বশির উদ্দিনের ছেলে প্রতারক নূরউদ্দিন (৩০) মানিকগঞ্জের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছে। এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। এবং নূরউদ্দিন আঁখি বেগমের খারাপ ভিডিও ধারণ করে এই ভিডিও ভয় দেখিয়ে নূরউদ্দিন আঁখি বেগমের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
প্রতারক নূরউদ্দিন ওই নারীর সরলতার সুযোগ নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়া ফুসলাইতে থাকে। পরে প্রবাসীর স্ত্রী তাহার প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে ৪ বছর ধরে তাদের মধ্যে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এরপর প্রতারক নূরউদ্দিন অর্থ হাতিয়ে নেয়ার মিশন শুরু হয়। প্রথমে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে তাঁর ভাই নিজামের গাড়ি কিনার জন্য ১০ লক্ষ টাকা চায়। টাকা নাই বল্লে কিস্তিতে টাকা তুলে দেয়ার কথা বলে। অসহায় নারী কোন উপায়ন্তু না পেয়ে তার প্রবাসী স্বামীর জমানো টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে প্রতারক নূরউদ্দিনকে দেয়।
এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় আঁখি বেগম তাঁর স্বামীর পাঠানো টাকা থেকে নূরউদ্দিনকে দেয়।একসময় নূরউদ্দিন প্রবাস থেকে এসে আঁখি বেগমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকা অবস্থায় যে ভিডিও ধারণ করে পরে সেই ভিডিও ফেসবুক ছেরে দিবে এবং তার প্রবাসী স্বামীকে দেখিয়ে দিবে বলে ভয় ভিতি দেখিয়ে তার প্রবাসী স্বামীর লক্ষ লক্ষ টাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে আঁখি বেগমকে নিয়ে নূরউদ্দিন তার এলাকা ভোলা পালিয়ে আসে।বাড়ি নিয়ে এসে নূরউদ্দিন আঁখি বেগমকে বিয়ে করে, প্রথম প্রথম তাদের সংসার ভালোই চলছিল ৩ মাসের মাথায় আঁখি বেগমের পেটে ২ মাসের সন্তান জন্ম নিলে নূরউদ্দিনের ফ্যামিলির সকলে মিলে যুক্তি করে, দুধের সাথে ঔষুধ মিশিয়ে আঁখি বেগমকে খাইয়ে দিয়ে তাঁর পেটের সন্তান নষ্ট করে ফেলে। এ-ই ভাবে কিছু দিন যাওয়ার পরে ৪২০ নূরউদ্দিন গাজী আঁখি বেগমকে বিভিন্ন খারাপ প্রস্তাব দেয়ে বলে দেহ ব্যবসা করে নুরউদ্দিনকে টাকা কামিয়ে দিতে ও বিভিন্ন পুরুষ লোক তার রুমে ঢুকিয়ে দেয়, পরে সে খারাপ প্রস্তাবে রাজী না হওয়া তার উপর অত্যাচার শুরু করে।
হঠাৎ একদিন নূরউদ্দিন প্রবাসে যাবে বলে এয়ারপোর্টে যাওয়ার পর নূরউদ্দিন আঁখি বেগমকে ভিডিও কল করে বলে, তোকে আর আমার ভালো লাগেনা, তোর সাথে আমার যায়না, তুই দ্রুত তোর এলাকায় চলে যা নয় তো তোকে মেরে ফেলব, এবং বিভিন্ন রকমের হুমকি দেয়ে অকর্ত ভাষা গালিগালাজ করে ফোন বন্ধ করে রাখে,পরে তাঁর ফ্যামিলির সবাই নূরউদ্দিনের মা, বোন, বোন জামাই, ভাই মমিন, নিজাম, এবং মমিন নিজামের স্ত্রী,ও মমিন নিজামের বন্ধুরা মিলে আঁখি বেগমের কাছ থেকে তাঁর ব্যবহৃত লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার টাকা সব কিছু তার থেকে ছিনিয়ে নেয়ে তাকে মারধোর করে–আদমরা করে ঢাকায় তার এলাকায় যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠিয়ে দেয়।
আঁখি বেগম দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ পত্রিকার সাংবাদিক দের বলেন কিছু দিন পর তাঁর এলাকার লোকদের নিয়ে ভোলায় আসে, নূরউদ্দিনদের বিরুদ্ধে মেম্বার চেয়ারম্যানকে সব কিছু জানায়, চেয়ারম্যান সুস্থ বিচার করবে বলে আশ্বাস দেয়।
এদিকে উক্ত বিষয় নিয়ে একাধিক সাংবাদিক খোঁজ খবর নিতে গেলে স্থানীয়রা জানায় নূরউদ্দিন একাধিক নারী কেলেংকারীর সাথে জড়িত রয়েছে, বিভিন্ন নারীদের ফুঁসলিয়ে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। সে প্রতারণা করে টাকা উপার্জন করে আরো, নূরউদ্দিনদের আর্থিক অবস্থা বেশি ভাল ছিল না। এক বছর ধরে তার রূপ পাল্টে গিয়েছে। প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রবাসীদের স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে সেই টাকা দিয়ে প্রবাসে গিয়েছেন একাধিক নারীকে সর্বশান্ত করেছে। এমনকি সে যেন এলাকায় এক মূর্তিমান আতঙ্ক।
নারী কেলেংকারীসহ, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সে জড়িত, তার উৎপাতে অতিষ্ট এলাকাবাসী। প্রবাসীর স্ত্রী বাদী হয়ে অভিযুক্ত নূরউদ্দিনের বিরুদ্ধে ভোলা জেলা কোর্টে মামলা দায়ের করেন। সাথে সাথে চরিত্রহীন লম্পটের বিচারের দাবী জানিয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন ভ‚ক্তভোগী পরিবার।