ইন্দ্রজিৎ টিকাদার
বটিয়াঘাটা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ
বটিয়াঘাটায় চলছে সরকারি খাল ও ওয়াপদা জায়গা দখলের প্রতিযোগিতা । প্রশাসনের নীরবতার কারনে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি জায়গা দখল করে দেদারছে গড়ে তোলা হচ্ছে পাকা ইমারত । উপজেলা প্রশাসন মাঝে মধ্যে আইওয়াস হিসেবে জেল- জরিমানা আদায় করলেও অবৈধ সম্পদ দখলদাররা হয়ে উঠেছে আরো বেপরোয়া । ভূমি দখলদাররা প্রশাসনকে নানা কৌশলে ভুল বুঝিয়ে তাদের দখলদারিত্ব চালিয়ে যাচ্ছে । উপজেলার জলমা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঝড়ভাঙ্গা মৌজাস্ত ছাচিবুনিয়া বাজার মসজিদ থেকে আলুতলা ক্লোজারের খেয়াঘাট অভিমুখে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদার রাস্তার জায়গা পাকা ইমারত নির্মাণ দখলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ওই এলাকার জনৈক মোঃ আলী হোসেন নামের এক ব্যক্তি। গত পরশু শনিবার বিকাল ৫ টায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হয়ে সরকারি জায়গায় পাকা ইমারত নির্মাণ করতে নিষেধ করেন । কিন্তু আলী হোসেনের স্ত্রী ব্যাংক কর্মকর্তা বাড়ি বের হয়ে উপস্থিত সকলের সাথে বাকবিতণ্ডে জড়িয়ে পরেন । এক পর্যায়ে উপস্থিত সকলে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করার কথা বললে মহিলা ব্যাংকার সকলে হুমকি দিয়ে বলেন আমাদের ও এ্যাসিল্যান্ড ও ইউএনও আছে । এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য পার্থ রায় মিঠু, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা অরবিন্দ গোলদার, খুলনা জেলা সংবাদপত্র হকার ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ মিলন হাওলাদার, মোঃ আকবর,বাদল ফলোয়ান, মন মোঃ খালেক, মোঃ মনির মোঃ সোবাহান খাঁ প্রমূখ । এছাড়াও জলমা ইউনিয়নের মল্লিকের মোড় সংলগ্ন টিকাদার বাড়ির পূর্ব পাশ্বে ও গৌড়ীয় গৌর নিতাই সেবা আস্রমের পূর্ব পাশ্বে ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধিদের সহোযোগিতায় সরকারি ইনেদার খাল বালু ভরাট করে প্লট বিক্রির পাঁয়তারা করছে ছয়ঘরিয়ার জনৈক মোঃ কোহিনুর এবং চক্রাখালী এলাকার জনৈক মোঃ হেমায়েত মিয়া ও মোঃ বাবুল হোসেন । এলাকাবাসী বাঁধা নিষেধ দিলে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে । এব্যাপারে এলাকাবাসী জলবদ্ধতা রোধে ও কৃষি জমি রক্ষার্থে উক্ত ভূমি দস্যুরা যাতে সরকারি ইনেদার খালে ও নদী সিকস্তি জমিতে বালু এবং লবন পানি ঢুকাতে না পারে সে জন্য উপজেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।