কিশোর গ্যাং লিডার ফারুকের অত্যাচার ও নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সহ সাধারণ মানুষ।
শাহানাজ পারভীনঃ বাংলাদেশ সাংবাদিক নির্যাতন বিরোধী সংগঠন।চট্টগ্রামঃ-চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানার ১৩নং ওয়ার্ড মায়ানী ইউনিয়নের সাবেক ছাএলীগ নেতা ও কিশোর গ্যাংগের লিডার ফারুকের অত্যাচার ও নির্যাতনে শিকার অএ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সহ সাধারণ স্থানীয় বাসিন্দারা।
৬নং ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধা এমএইচ আব্দুর রহমান মিস্ত্রির সন্তান র্বতমান ইউপি সদস্য জনাব মোহাম্মদ শামসুদ্দীন গনমাধ্যমকে জানান, কিশোর গ্যাং লিডার ফারুক বাহিনীর অত্যাচারে বর্তমানে আমাদের এলাকায় থাকা কষ্ট সাধ্য হয়ে উঠেছে, শুধু আমাদের পরিবার নয় প্রায় এলাকায় সাধারণ মানুষও হুমকির মুখে রয়েছেন। চাঁদাবাজি ভূমিদস্যুতায় মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে ফারুক বাহিনীর সদস্যরা।
আবার এই দিকে মায়ানী বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য আলি আকবর বর্তমানে আবুতোরাব বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, আমাকে ও হামলা করেন এবং চাঁদাদাবী করেন, সেটা ইউনিয়নের প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিদেরকে জানালে গ্যাং লিডার ফারুক আরো ক্ষিপ্ত হয়ে এক পর্যায়ে ফারুকের গ্যাং বাহিনীরা এলাকায় ঢুকে পড়ে, এবং সেখানে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেন। উক্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের মধ্যে ছিল, ইব্রাহিম, সাজ্জাদ,রকি,অপু,সহ নাম না জানা আরো অনেক কিশোর গ্যাং। তাঁরা আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে এবং মাথায় আঘাত করেন, পরে আমি গেয়ান হারিয়ে ফেলি গুরুতর অবস্থায় মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার মাথায় ছয়টটি সেলাই করে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দেয়।
শুধু আকবর ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান না
আরো অনেকেই একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে ফারুক এর অত্যাচারের কথা জানান দিতে। এই বিষয়ে সরোজমিনে গেলে দেখা যায় ফারুক বাহিনী নানা অপকর্মের ইতিকথা।
এলাকার নিয়াজুল করিমের একটি জায়গা দখল জোরপূর্বক দখল করতে চায় সাবেক নেতা ফারুক ও তাঁর গ্যাং বাহিনী। এমন অবস্থায় নিয়াজুল করিম থানায় কল করেন, এবং থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেই ফারুকে ফোন করেলে সে উক্ত বিষয় অস্বীকার করেন। এবং ছোঁড়াও হয়ে নিয়াজুল করিমের সাথে এই সময় তাকে গুলি করারও হুমকি দেন ফারুক। নিয়াজুল করিম উক্ত বিষয়ে চেয়ারম্যানকে থানায় জিডি করতে বলেন, পরে ওনার সন্তান ফরহাদ থানায় অভিযোগ করেন, সুষ্ঠুভাবে বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন করিমের পরিবারের লোকদেরকে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান,মোঃ মহিন পূর্ব মায়ানী মোল্লা বাড়ীর ছেলে, রাজনৈতিক ইসু ধরে তাকে বেদম মারধর করেন। শুধু সাধারণ মানুষ না পাশের ইউনিয়নের মঘাদিয়ার সাবেক ছাএ নেতা কায়য়ুম সহ ছাএলীগের পায়েল কে হত্যার উদ্দেশ্যে রড দিয়ে আঘাত করেন,
ফারুক গ্যাং বাহিনী শুধু মায়ানী নয় পুরা আবুতোরাব বাজার এলাকা বিস্তার করে অএ এলাকার বাজারের কিছু দোকান বলেন, কিশোর গ্যাং লিডার ফারুক বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ আমরা সবাই ফারুক কিছু দিন আগে জেল হাজতে ছিল আমরা শান্তিতে ব্যবসাবাণিজ্য করতে পেরেছি। জেল থেকে এসে আবার বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত হয়ে এলাকায় অশালীন আচরণে অশান্তিতে পুরো মায়ানী যেন ক্রাইমের রাজ্য গড়ে তুলেছে ইয়াবার রাজ্য, ফারুক এবং রকি তাঁর বাহিনীরা।
আমরা প্রশাসন ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারদের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি আমাদেরকে এই গ্যাংয়ের হাত থেকে মুক্তি করার জন্য।
এই গ্যাং দ্বারা হাজার ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্রদেরকেও অপরাধের সাথে জড়িয়ে ফেলছেন, এতে ধংশ হচ্ছে যুব সমাজ।
এই দিকে অত্রএলাকা মায়ানী ইউনিয়নের প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করলে ওনি গনমাধ্যমকে বলেন, আইনি ভাবে আমরা প্রোদক্ষেপ নিচ্ছি, তাছাড়া এসব মূল অপরাধের হোতা বারবার জেলে যাই,আবার সেই মাদক সহ হাতে নাতে ধরাপড়ে পুলিশের হাতে, পরবর্তীতে জামিনে ছাড়া পেয়ে,
আবার বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফারুক বাহিনীর ইন্ধনদাতা হল মায়ানী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাদশা। এইদিকে মঘাদিয়া ইউনিয়নের জাফর ইসলামের জায়গা দখল করেন ক্ষমতা দেখিয়ে আর পেটোয়া বাহিনী নিয়ে কিশোর গ্যাং লিডার ফারুক,রকি ইব্রাহিম সহ অনেকে তাদের সহযোগী, এই দিকে আবার অত্যাচারের শিকার হতে হয় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ সাধারণ স্থানীয়বাসীদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের একটাই দাবি ফারুক এবং তাঁর কিশোর বাহিনীর হাত থেকে আমরা চাই মুক্তি। তাই এই বিষয়ে সরকার ও ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।