স্টাফ রিপোর্টার মোছাঃ রিনা আক্তারঃ
রাকিব হোসেনের বৌ ভাগিয়ে বিয়ে করার দায়ে দেশজুড়ে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার নববধূ তামিমা সুলতানাকে নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনা সমাচলোচনার ঝড় উঠেছে, তখন তেমনি একটি ঘটনায় ৩৬ বছর পলাতক থাকার পর ফেনীর সোনাগাজী এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নামে নামেও মিলে গেছে নাছিরের। গ্রেফতার কৃতরা হল- আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে নাছির উদ্দিন (৬০) ও ভাগিয়ে বিয়ে করা তার স্ত্রী পেয়ারা বেগম (৫০)। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম ও এসআই মাহবুব আলম সরকারের নেতৃত্বে পুলিশদল চট্রগ্রামের আকবর শাহ থানাধীন সিটি গেইট এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, ১৯৮৫ সালে নাছির উদ্দিন প্রেম করে তার ভাই মাহবুবের রহমানের বিয়ে করা স্ত্রী পেয়ারা বেগমকে ভাগিয়ে বিয়ে করেন। ১৯৮৫ সালের ২ জানুয়ারি মাসে মাহবুবের রহমান বাদি হয়ে ভাই নাছির উদ্দিন ও তার স্ত্রীকে আসামি করে তৎকালীণ সময়ে দন্ডবিধি ৪৯৬/৩৭৯/৩৪ ধারা মোতাবেক প্রতারণমূলকভাবে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অপরাধে মামলা দায়ের করেন। সোনাগাজী থানার মামলা নং-০২, ০২-০১-১৯৮৫ইং। তৎকালীণ সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১৯৮৫ সালের ৫ অক্টোবর নাছির উদ্দিন ও তার স্ত্রী পেয়ারা বেগমের এক বছর করে সস্ত্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। আদালত প্রতারণামূলক ভাবে অন্যর স্ত্রীকে বিয়ে করার অপরাধে ওই দন্ডে দন্ডিত করেন।
বিয়ের পর থেকে নাছির উদ্দিন চট্রগ্রামে গিয়ে পেয়ারা বেগমকে নিয়ে নতুন সংসার গড়েন। চট্রগ্রামের বিভিন্নস্থানে বসবাসের পর সর্বশেষ চট্রগ্রামের আকবর শাহ থানাধীন সিটি গেইট এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছে। এর মাঝে ওই দম্পতি চার ছেলে সন্তানের জনক-জননী হন। তিন ছেলেকে ইতোমধ্যে বিয়েও করিয়েছেন।
স্ত্রীকে হারিয়ে মাহবুবের রহমান আরেকটি বিয়ে করে ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছেন বলে জানা গেছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।