সোহাগ হোসেন
জামালপুর জেলা প্রতিনিধি
আসন্ন মাদারগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টা সময় থেকে নির্বাচন প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।এখানে মেয়র পদে আওয়ামীলীগ,বিএনপিসহ জাতীয় পার্টি মনোনিত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মাদারগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে। মূল লড়াইটা আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র মধ্যে হবে বলে লক্ষ করা যাচ্ছে।মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১১ ফেব্রুয়ারি ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো.আমিনুল ইসলাম ও ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আবু বক্কর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারগঞ্জ উপজেলা রিটার্নিং অফিসার। তিনি জানান, ‘নিয়ম অনুযায়ী বাকি প্রার্থীদের প্রার্থীতা বহাল থাকলো। প্রতীক পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে দেখা গিয়েছে প্রার্থীদের। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থী ও সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপ্রালন করার আহবান জানান মোহাম্মদ আবুল মনসুর। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মেয়র পদে ৩জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২০জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ০৮জন প্রার্থী।মহিলা কাউন্সিলরদের প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে , আনারস,জবাফুল, অটোরিকশা,চশমা। পুরুষ কাউন্সিল প্রার্থীদের জন্য প্রতীক ছিল পানির বোতল, পাঞ্জাবি, ব্লাকবোর্ড ,উটপাখি,গাজরসহ বিভিন্ন প্রতীক। প্রার্থীদের মাঝে দেওয়া প্রতীক বরাদ্দের কোনো অসন্তোষ দেখা যায়নি প্রার্থীদের মধ্যে।প্রতীক বরাদ্দ অনুষ্ঠানটিতে কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা যায়নি, সুষ্ঠুভাবে প্রতিক বরাদ্দ কাজটি সম্পন্ন করে মাদারগঞ্জ নির্বাচন কমিশনার।নির্বাচনী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মেয়র পদের ৩জন প্রার্থীই নির্বাচনে অংশগ্রহন করছেন। তারা হলেন-আ.লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবির, বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আব্দুর গফুর ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাহিদ হাসান রাঙ্গা। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে ৩জন, তারা হলেন- উটপাখি প্রতীক নিয়ে, আবু সাইদ সেবু,পানির বোতল প্রতীক নিয়ে হাফিজুর রহমান পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে নান্নু মিয়া। ২নং ওয়ার্ডে ২জন, তারা হলেন- পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে খালেদ মাসুদ তালুকদার সোহেল, উটপাখি প্রতীক নিয়ে হানিফ আহম্মেদ। ৩নং ওয়ার্ডে ৪জন, তারা হলেন- ডালিম প্রতীক নিয়ে মোখলেসুর রহমান, গাজর প্রতীক নিয়ে রওশন তালুকদার,উটপাখি প্রতীক নিয়ে পুলক পারভেজ, পানির বোতল প্রতীক নিয়ে লুৎফর খাঁন। ৪নং ওয়ার্ডে হাসানুজ্জামান সাগরের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। ৫নং ওয়ার্ডে ২জন, তারা হলেন- পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে এ.কে.এম.হযরত আলী হিলারী, উটপাখি প্রতীক নিয়ে কামরুল হাসান। ৬নং ওয়ার্ডে ২জন, তারা হলেন- গাজর প্রতীক নিয়ে শফিকুর রহমান বাদশা, উটপাখি প্রতীক নিয়ে শামীম আহম্মেদ দুদু। ৭নং ওয়ার্ডের প্রার্থী শওকত আলীর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ৮নং ওয়ার্ডে ৫জন, তারা হলেন- গাজর প্রতীক নিয়ে হাজী আব্দুর রহীম,উটপাখি প্রতীক নিয়ে নজরুল ইসলাম,পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে ছামিউল ইসলাম, ব্লাকবোর্ড প্রতীক নিয়ে মোস্তফা কামাল,ডালিম প্রতীক নিয়ে ফারুক সরকার। ৯নং ওয়ার্ডে ৩জন, তারা হলেন- গাজর প্রতীক নিয়ে লিয়াকত আলী,উটপাখি প্রতীক নিয়ে ইউসুফ আলী ইদু,পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে মোস্তাকিম বিল্লাহ। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ১, ২,৩নং ওয়ার্ডে ৪জন, তারা হলেন- চশমা প্রতীক নিয়ে কোহিনুর বেগম,জবাফুল প্রতীক নিয়ে মোছাঃ শিলা আক্তার, আনারস প্রতীক নিয়ে ওয়াহিদা আক্তার মিরা,অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে মোছাঃ লিখা বেগম। ৪,৫, ৬নং ওয়ার্ডে ২জন, তারা হলেন- আনারস প্রতীক নিয়ে,লায়লা বেগম চশমা প্রতীক নিয়ে তানিয়া সুলতানা । ৭, ৮, ৯নং ওয়ার্ডে ২জন, তারা হলেন- অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে শিরিনা পারভীন, আনারস প্রতীক নিয়ে ফাহিমা বেগম। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে এবারের মোট ভোটার সংখ্যা ২৫০৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২৩৭৮ ও মহিলা ভোটার ১২৬৬০ জন। আগামি ২৮ শে ফেব্রুয়ারি ৩য় বারের মতো মাদারগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ১০টি কেন্দ্রে ইভিএম এর মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে