আবু ইউসুফ নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ সাংবাদিক নির্যাতন বিরোধী সংগঠন।গত ২৩/০৬/২০২০ তারিখ সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় মামলার ভিকটিম মানসিক ভারসাম্যহীন তাহমিনা (২৫) পিতামৃত-তোফাজ্জল হোসেন, সাং-মধ্য পানজোরা, থানা-কালিগঞ্জ, জেলা-গাজীপুর তার বাসা হতে বের হয়ে নিখেঁাজ হয়। কালিগঞ্জ থানাধীন নগরবেলা সাকিনস্থ বাহুরঘাট নামক স্থানে বালু নদী হতে একজন অজ্ঞাতনামা মহিলার লাশ উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে ডিসিষ্ট এর বড় বোন মোসাঃ জাহানারা ইং ২৫/০৬/২০২০ তারিখ উলুখোলা পুলিশ ক্যাম্পে উপস্থিত হয়ে লাশটি তার ছোট বোনের মর্মে সনাক্ত করেন। ভিকটিম মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে মর্মে সবাই ধারনা করে উক্ত বিষয়ে কালিগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নং-১৭/২০ তারিখ-২৬/০৬/২০২০ খ্রিঃ রুজু করা হয়। পরবর্তীতে মৃতার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সংগ্রহ পূর্বক পর্যালোচনায় জানা যায় ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষনের পর পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে। উক্ত ঘটনায় কালিগঞ্জ থানায় এসআই (নিঃ) রেজাউল করিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করলে কালিগঞ্জ থানার মামলার নং-২৫ তারিখ-৩০/১০/২০২০ ইং ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯ (১) তৎসহ ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। স্থানীয় ভাবে আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ঢাকার নির্দেশে পিবিআই গাজীপুর জেলা তদন্তের আদেশ প্রাপ্ত হয়। পিবিআই তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোশারফ হোসেন ভিকটিম তাহমিনার ব্যক্তিগত বিষয়, আচার আচারন ও চলাচল সংক্রান্তে তথ্য সংগ্রহ পূর্বক তদন্ত শুরু করে। ডিআইজি পিবিআই জনাব বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার, জনাব মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এর সার্বিক সহযোগিতায় তদন্তকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোশারফ হোসেন মামলাটি তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত সন্দিগ্ধ আসামী মোঃ রুবেল হোসেন (২১) পিতা-উসমান গনি, সাং-নরুন মধ্যপাড়া, থানা-কালিগঞ্জ, জেলা-গাজীপুরকে গত ২৫/০৪/২০২১ তারিখ রাত ০২.৩০ ঘটিকার সময় কালিগঞ্জ থানাধীন নাগরী এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামী অত্র মামলার ঘটনার সাথে নিজের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে। উক্ত আসামীকে অদ্য ২৬/০৪/২০২১ তারিখ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে সে নিজেকে জড়িয়ে ঘটনা সংক্রান্তে স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ এর ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। আসামী তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উল্লেখ করে যে, সে এবং তার সহযোগী আসামীরা নাগরী ইউনিলিভার ফ্যাক্টরীতে সিকিউরিটি গার্ড হিসাবে চাকুরী করত। ভিকটিকম সেখানে চাকুরীর জন্য যায়। আসামীগন তাকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ফ্যাক্টরীর পার্শ্ববর্তী তাদের মেসে নিয়ে যায় এবং গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেল সহ সহযোগী অন্যান্য আসামীরা ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। পরবর্তীতে ভিকটিমকে বাসায় পেঁৗছে দেয়ার কথা বলে সিএনজি ভাড়া করে উলুখোলা ব্রীজে নিয়ে যায়। সেখানে আসামীরা ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে উচু করে ব্রীজের রেলিং এর উপর দিয়ে বালু নদীতে নিক্ষেপ করে হত্যা করে। মামলাটি তদন্তাধীন। ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ঃ উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোশারফ হোসেন, পিবিআই গাজীপুর জেলা।