বিধান কুমার বিশ্বাস রাজবাড়ী।
অনিয়ম-দুর্নীতি আর ঘুষ লেনদেনের মধ্য দিয়েই চলছে দাদশী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সব কাজ। দাদশী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এই অবৈধ লেনদেনকে ঘিরে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী জালিয়াত চক্র, কর্মচারী-দালাল সিন্ডিকেট।
দাদশী ইউনিয়ন ভূমি দুর্নীতি অষ্ঠোপাসের কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষের। জনদুর্ভোগ আর হয়রানির শেষ নেই। দাদশী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের নামে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে ঘুষ, দুর্নীতি আর অনিয়মের এ চিত্র উঠে আসে। নামপ্রস্তাব, সার্ভে রিপোর্ট, নামজারি, ডিসিআর সংগ্রহ, খাজনা দাখিল থেকে শুরু করে সবকিছুতেই ঘুষের কারবার।
বর্তমানে খাজনা প্রদানের জন্য তথ্য নিয়ে অনলাইন করার কথা বলে জনপ্রতি ২০০ করে টাকা নেওয়া হয়েছে। এই দুই শত করে টাকা নেওয়ার কোন কথা নেই বা এখতিয়ার নেই।
দাদশী ভূমি অফিসে কর্মকর্তাগণ ৪ নং ওয়ার্ডে সর্ব সাধারণের নিকট হতে টাকা নেওয়া হয়েছে।
দাদশী ইউনিয়নে নির্ভেজাল জায়গা কিনলেও বিনা হয়রানিতে ওই জায়গার মালিক হওয়া কষ্টকর। ভেজাল থাকলে তো কোনো কথাই নেই। ত্রুটি সারাতে পোহাতে হয় অন্তহীন দুর্ভোগ।
জমির নিবন্ধন, খাজনা প্রদান, দাখিলা গ্রহণ, পর্চা, নামজারি, খতিয়ান ইস্যু ইত্যাদি কাজ সারতে মানুষের জায়গার মালিক হওয়ার সাধ মিটে যায়।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, নামজারি করার জন্য চার থেকে পাঁচ হাজার করে টাকা নেওয়া হয়। এবং বর্তমানে অনলাইনের জন্য টাকা নেওয়ার কথা না থাকলেও গ্রাহক প্রতি ২ শত ৩ শত করে টাকা নেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান কি হচ্ছে দাদশী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক, দুদক ও বিশেষ সংস্থার আকর্ষণ করে সূত্রগুলো জানায়। পৌর ভূমি অফিসের সেবা কার্যক্রম গতিশীলতা ও মান সমুন্নত রাখতে মাঠ পর্যায় সংশ্লিষ্টদের উৎকোচ বাজি ও অনিয়ম রাশ টেনে ধরা দরকার।
সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন। জেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে সোচ্চার। কিন্তু মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিস গুলো দুর্নীতির আখড়া ভেঙ্গে দিতে মাঠ পর্যায়ের দুর্নীতিবাজদের ও তাদের অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নেবার পদ্ধতির বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকেই পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানান।