আহসান হাবীব লক্ষীপুর জেলা প্রতিনিধি
সারাদেশের ন্যায় লক্ষীপুরের বিভিন্ন বাজারেও সবজি, মাছের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলেও চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, আটা ও পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বগতি রয়েছে।
এ সপ্তাহে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম বেড়েছে কেজিতে দশ থেকে ১৫ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, আমরা বেশ দামে ক্রয় করে আনতে হচ্ছে তাই আমরাও বেশ দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।সবজির বাজারে স্বস্তি থাকলেও বাজারভেদে দামে বেশ পার্থক্য দেখা গেছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোজ্য তেলের বাজারে এ অস্থিরতা চলছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ভোজ্য তেলে সুখবর আসতে পারে আগামী মার্চে। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে সামনে সয়াবিনের মৌসুম শুরু হচ্ছে। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে আসবে। এ সময় মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের পিক সিজনও শুরু হবে।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ৩ থেকে ৪ দিনের ব্যবধানে সব ধরনের চালে কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা করে বেড়েছে। প্রতি বস্তা মিনিকেট চাল ৩ হাজার ৫০ টাকা থেকে ৩ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে।
এবিষয়ে এক ক্রেতা বলেন, চাল, তেল,পেয়াজ বাজারে বর্তমান যে পরিস্থিতি তা আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য অনেক কষ্ট দায়ক,বর্তমান বাজারে সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৪০টাকা,চাল প্রতি কেজি ৬০-৬৫ টাকা,মসুর ডাল ১৩৫ টাকা,পেঁয়াজ ৫০ টাকা,রসুন ১১৫-১২০টাকা, আটা ৩৫ টাকাসহ বিভিন্ন পন্যের দাম অধিক বারতি।
রায়পুর বজারের কাঁচা বাজার, রাখালিয়া বাজার হায়দরগন্জ বাজার সহ আরও কয়েকটি বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র জানা গেছে।
বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও আজ কেজিতে পনের থেকে বিশ টাকা পর্যন্ত বেড়ে এখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা চলছে। একই অবস্থা রসুনেরও। আগের সপ্তাহে দেশি রসুন ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ ১১৫-১২০টাকা পর্যন্ত দাম চাইলেন বিক্রেতারা। আমদানি করা রসুনের দাম ১০ টাকা বেড়ে ১১৫ থেকে ১৩০ টাকায় উঠেছে। দেশি আদা কেনা যেত ৭০ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে, এখন ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, আমদানি করা আদা কিনতে হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।
রায়পুর বাজারের এক চালের আড়তদার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, দুই মাস ধরে চালের দাম উঠানামা করছে। কখনো বাড়ছে আবার কখনো কমছে। মাঝে চালের দাম স্থির থাকলেও এখন আবার চালের দাম বেড়ে গেছে। সব ধরনের চাল ৩ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতি বস্তা মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০ টাকা থেকে ৩ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। প্রকারভেদে আরও বেশিও বিক্রি হচ্ছে।
রায়পুর কাঁচা বাজারের এক মুদি ব্যবসায়ী বলেন, ‘তেলের দাম এখনো কমেনি বরং বেড়েছে প্রতি লিটার রূপচাঁদা তেল এক মাস আগে ১০৭ টাকা দামে পাইকারি বিক্রি করেছি। এখন সেটা বিক্রি করছি ১৩৫ টাকা, যেটির গায়ের রেট ১৪০ টাকায় খুচরা বিক্রি হবে। একইভাবে বাড়ছে খোলা সয়াবিন তেলও।
তিনি আরও বলেন, ২ কেজি আটা গত সপ্তাহ বিক্রি করেছি ৬৫ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭২ টাকা পর্যন্ত। চিনি দামও এক সপ্তাহে বেড়েছে। আগে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি করেছি ৭০ টাকা, এখন সেটি বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ টাকা পর্যন্ত।
এদিকে সবজি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে- সবজি ও মাছের দাম স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েছে ডিমের দাম। ১০ টাকা বেড়ে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা করে। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৭০ টাকা করে।