সুমন ইসলাম বাবু,লালমনিরহাট

লালমবিরহাট গোটা জেলায় চোরেরা অবাধে চুরি করে চলছে ঘরবাড়ি, বাইকেল, মোটরসাইকেল সহ মানুষের সবধরনের প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী। অপরদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ী, খেলোয়াড় প্রেমিরা মানববন্ধন করছে মেলা বন্ধের দাবিতে। কিন্তু জেলা প্রশাসনের নীরবতায় এগিয়ে চলছে মেলার মঞ্চের কাজ! চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারে নেই তেমন কোন পদক্ষেপ।
সদর থানায় আমার মোটরসাইকেল চুরি মামলায় সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার হয় একাধিক মোটরসাইকেল। সদর থানা থেকে ওই বাইকের প্রকৃত মালিকরা নিয়ে গেছেন তাদের চুরি যাওয়ার পর উদ্ধারকৃত সম্পদ। চোরের খপ্পরে পরা অনেকে হতাশ হয়ে কেউ কেউ জিডি/ মামলাও করেনি। জেলায় প্রতিরাতে কোন না কোন গ্রামে কারও না কারও বাড়ী চুরি হচ্ছে হরহামেশাই। প্রতিকার নেই। আদালতে সম্মানিত আইনজীবীরা নিয়ম মেনে এসকল চোরদের পক্ষে ওকালতি করলে তারা জামিনে মুক্তি পায়। ফের চুরি করতে তৎপর হয় মানুষের ক্ষতি করে। আগের মতো চোর পেটানোর শুরু না করলে এ ধরনের অপরাধ বৃদ্ধি পেতেই থাকবে এমন মতামত দেন বিশিষ্ট জনেরা। চোরকে যাতে পেটানো না হয় সেজন্য সড়কে মহাসমারোহে কাজ করে মানবাধিকার নামক সংগঠনের কর্মীরা! তবে কোন রাজনৈতিক কিংবা মানবাধিকার কর্মীরা চোরের দ্বারা ক্ষতি গ্রস্থ মানুষগুলোর পাশে দাড়াতে আমি দেখিনি আপনারা কেউ দেখে থাকলে জানাতে পারেন। কিন্তু এধরণের অপরাধ দমনে সদা সদা প্রস্তুত থাকে সকল থানার পুলিশ। তাদের চেষ্টার কমতি থাকেনা জীবন বাজি রেখে মানুষের চুরি যাওয়া সম্পদ উদ্ধার করতে একের পর এক অভিযান দেন তারা। আমার দেখা অপরাধ দমনে যদিও বাধাগ্রস্ত হন পুলিশ বাহিনী, তারপরও কোন কোন পুলিশদল, চুরি যাওয়া সম্পদ উদ্ধার করা সহ চোর ধরতে আন্তরিকতার কোন অভাব রাখেননা তাহারা। কয়েকদিন আগে এক ভিডিওতে দেখা গেছে তথ্য প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি তাঁর এলাকায় চুরি যাওয়া সম্পদ দ্রুত উদ্ধারের জন্য তাগাদা দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্তাকে কিন্তু এখনো উদ্ধার হয়েছে কিনা সে খবরের আপডেট আজও পাওয়া যায়নি ।