অশোক সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শেরপুরে জাল টাকার নোট বিক্রিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আফজাল হোসেন নামের এক প্রতারণাকারীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান(র্যাব-১২) এর সদস্যরা। এসময় তার কাছে ৩লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।
(২০ ফেব্রুয়ারী) শনিবার সন্ধ্যার দিকে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাঁজর উত্তরপাড়া গ্রামে জনৈক ইব্রাহিমের বাড়ির পাশের কাঁচা রাস্তা উপর থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার আফজাল হোসেন ঘোড়দৌড় গ্রামের আবুল হোসেনে ছেলে। তার বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি প্রতারণা আইনে মামলা দায়ের করেছে র্যাব এবং তিনি একটি হত্যা মামলা আসামী বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
জানা যায়, শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঘোড়দৌড় গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে হত্যা মামলার আসামী আফজাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে উপজেলাসহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে জাল টাকার ব্যবসা করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিতায় গত(২০ ফেব্রুয়ারি) শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে জাল নোটগুলো বিক্রির উদ্দেশ্য একই উপজেলার ঝাঁজর গ্রামে যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২ বগুড়ার সদস্যরা ঝাঁজর উত্তরপাড়া গ্রামের জনৈক ইব্রাহীমের বাড়ির কাঁচা রাস্তার পাশে আঁড়ি পাতেন।
এসময় আফজাল হোসেন থেকে জাল টাকার নোটগুলো নিয়ে নির্ধারিত স্থানে পৌছিলে তথ্যমতে তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। এবং তাকে তল্লাশী করে ৩ লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করে। যার প্রতিটি নোটই ছিল ১ হাজার টাকার।পরে ওই রাতেই বগুড়া র্যাব-১২ এর নায়েক সুবেদার রাজু আহম্মেদ বাদি হয়ে প্রতারণা ও কালো বাজারি আইনে শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, আফজাল হোসেন শুধু জাল টাকার নোটই নয় হত্যা, চুরি, প্রতারণা, বাল্যবিয়েসহ নানান অসামাজিক কাজে লিপ্ত ছিল। নিজের অপরাধ ঢাকতে তার সাথে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে সক্ষতা আছে বলে এলাকায় প্রচার চালাতো। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আফজাল হোসেন গত বছর ২৫ মার্চ ঘোড়দৌড় গ্রামের রশিদুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামী বলে শেরপুর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো:শহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃত আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে জাল টাকার ব্যবসা ও প্রতারণা আইনে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।