শাহানাজ পারভীনঃ চট্টগ্রামঃ-বৈশ্বিক মহামারীর দ্বিতীয় ডেউ সংক্রমণ মোকাবলায় কড়াকড়ি ভাবে সরকারি বেসরকারি অফিস আদালত, গার্মেন্টস, ও শপিং মহল, সকল ধরনের যানবাহন সহ দ্বিতীয় লকডাউন আগামী ১৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখ (পহেলা বৈশাখ) থেকে ৭ দিন পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করার নির্দেশনা দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন শুক্রবার জানিয়েছেন, লকডাউনের বিষয়ে আগামী রোববার (১১ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। এবারের লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ থাকবেন।
এদিকে, কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি ১৪ দিনের লকডাউনের সুপারিশ করেছে।
গতবছর করোনার সংক্রমণ কিছুটা আটকে রাখা গেলেও এ বছর কিছুতেই প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছেন সারা বাংলাদেশ থামানো যাচ্ছে না বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এ কারণে প্রথমে ১৮ দফা নির্দেশনা পরে সেই আলোকে ৭ দিনের কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। কিন্তু এসব বিধি-নিষেধ মানতে জনগণের মাঝে উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। এরমাঝেই এলো নতুন করে আরও সাতদিনের লকডাউনের ঘোষণা।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন টেলিফোনে জানান, মানুষকে বাঁচাতে এই (লকডাউনের) কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আরো বলেন-যেভাবে করোনা ছড়াচ্ছে তাতে মানুষের নিরাপত্তার জন্যই কঠোর ভাবে লকডাউনে যেতেই হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই ১৪ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউনে যাচ্ছিন সরকার। এবারের লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সব বন্ধ থাকবেন,অফিস-আদালত, কলকারখানাও খুলবেনা বলে জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কঠোর লকডাউন ছাড়া মৃত্যুর হার কমানো যাবে না। করোনাও রোধ করা যাবে না। আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। তাই আমরা কড়া লকডাউনের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাধ্য হচ্ছি।
এদিকে জাতীয় পরামর্শক কমিটি দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউনের সুপারিশ করেছেন। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকায় লকডাউনের সুপারিশ করা হয়েছে, এতে বলা হয় যে করেই হোক সরকারি হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
এর আগে শুক্রবার সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের লকডাউনের আভাস দেন।
তিনি বলেন, জনগণ উদাসীন। তাদের মন মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের কড়া লকডাউনে যাচ্ছেন।
এদিকে মহামারি করোনা ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৬৩ জন মারা গেছেন বলে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৫৮৪ জনে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দেশে রেকর্ড সংখ্যক ৭৪ জনের মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৪৬২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছেন ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৪ জন। এর আগে গত বুধবার (৭ এপ্রিল) দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।